শম্পালী মৌলিক: আশ্বিনের শারদপ্রাতের সময় আসন্ন। নির্দিষ্ট সময় ভোরের আলো ফুটলেই বাংলার বাড়িতে বাড়িতে শোনা যাবে। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের অনির্বচনীয় কণ্ঠস্বর। শুরু হয়ে যাবে বাঙালির একান্ত আপন মহালয়া (Mahalaya)। এবার মহালয়াতে ছোটপর্দার দর্শকদের বিশেষ প্রাপ্তি ঘটতে চলেছে। এই প্রথমবার বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় মহিষাসুরমর্দিনী অর্থাৎ দেবী দুর্গা হিসেবে দেখা যাবে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে (Rituparna Sengupta)।
পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনালগ্নটি মহালয়া হিসেবে চিহ্নিত। এই সন্ধিক্ষণ মানব জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মহালয়া অর্থাৎ মহান যে আলয়, এই কথাটির ব্যাখ্যা নানাভাবে করেছেন প্রাজ্ঞজনেরা। যেহেতু মহালয়া থেকেই দেবী দুর্গার আবাহন মুহূর্তটি চিহ্নিত হয়ে যায়, তাই অনেকের মতে দেবী স্বয়ং হলেন এই আলয় বা আশ্রয়। ভিন্নমতে, এই মহান আলয় হল পিতৃলোক। যেহেতু এটি পিতৃপক্ষের অবসান চিহ্নিত করে। ঠিক এর পরদিন থেকে দেবীপক্ষের সূচনা।
[আরও পড়ুন: যৌনতার প্রস্তাব দেওয়া মেয়েরা আসলে দেহ ব্যবসায়ী! অভিনেতা মুকেশ খান্নার মন্তব্যে বিতর্ক তুঙ্গে]
সূচনার এই মুহূর্তেই দুর্গতিনাশিনী দুর্গার সাজে কালার্স বাংলা (Colors Bangla) চ্যানেলে আসছেন ঋতুপর্ণা। ‘দেবী দশমহাবিদ্যা’ অনুষ্ঠানে মহামায়া রূপে দেখা যাবে তাঁকে। ইতিমধ্যেই ঋতুপর্ণার সাজের ঝলক প্রকাশ্যে এসেছে। লাল শাড়িতে সেজেছেন অভিনেত্রী। গা ভরতি গয়না। কপালে অর্ধচন্দ্রাকৃতি টিপ শোভা পাচ্ছে। হাতে একটি ত্রিশূলও রয়েছে অভিনেত্রীর। জানা গিয়েছে, কালার্স বাংলা চ্যানেলের অন্যান্য ধারাবাহিকের অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও বিশেষ এই শোয়ে দেখা যাবে।
‘বেলাশুরু’ সিনেমায় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত পাশাপাশি প্রশংসিত হয়েছিল ঋতুপর্ণার অভিনয়। কিছুদিন আগেই আবার পেয়েছেন বঙ্গভূষণ সম্মান। আগামীতে ‘আকরিক’ সিনেমায় দেখা যাবে নায়িকাকে। তথাগত ভট্টাচার্যর পরিচালনায় ছবিতে সিঙ্গল মাদারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি। সঙ্গে দেখা যাবে ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়কে। আগস্ট মাসের শেষের দিকে ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা।