সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চলে গেলেন অভিনেত্রী সুমিতা সান্যাল। দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত কারণে ভুগছিলেন তিনি। তিন দশক ধরে টলিউডে ও বলিউডে চুটিয়ে অভিনয় করেছিলেন এই দাপুটে অভিনেত্রী। অভিনয়ের দক্ষতা প্রমাণ করতে যে একটি দৃশ্যই যথেষ্ট তা ‘নায়ক’ ছবিতে প্রমাণ করে দিয়েছিলেন সুমিতা সান্যাল। রবিবার সকালে লেক গার্ডেন্সের বাড়িতে জীবনাবসান ঘটে এই অভিনেত্রীর। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।
[শুটিং না করেই কেন ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-এর সেট ছাড়লেন শাহরুখ?]
১৯৪৫ সালে দার্জিলিংয়ে জন্মগ্রহণ করেন মঞ্জুলা সান্যাল। ‘খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন’ ছবির হাত ধরে বাংলা ছবির জগতে পা রাখেন মঞ্জুলা। তবে তাঁর নামটা পছন্দ হয়নি পরিচালক বিভূতি লাহার। তাই তাঁর নাম পরিবর্তন করে নাম রাখেন সুচরিতা। পরবর্তীকালে সেই নামকে আবারও পরিবর্তন করেন পরিচালক কণক মুখোপাধ্যায়। তাঁর নামকরণ করা হয় সুমিতা। আর এই নামেই বলিউড থেকে টলিউডে জনপ্রিয়তা পান সুমিতা সান্যাল। লীলা দেশাই তাঁর পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন অগ্রদূতের সঙ্গে। এরপর ১৯৬০ থেকে প্রায় ৩৪টি বাংলা ছবি ও ৫টি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেন সুমিতা দেবী। তারই মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘কুহেলি’, ‘সাগিনা মাহাতো’, ‘নায়ক’, ‘আনন্দ’। ‘সাগিনা মাহাতো’ ছবিতে তাঁকে দেখা গিয়েছিল দিলীপ কুমারের বিপরীতে, ‘কুহেলি’-তে অভিনয় করেছিলেন সুপারস্টার বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এছাড়াও পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের ছবিতেও অভিনয় করেছেন সুমিতা সান্যাল। ‘নায়ক’ ছবিতে একটি দৃশ্যেই উত্তম কুমারের বিপরীতে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তাঁর অভিনয়ের দক্ষতা। হিন্দি ছবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘গুড্ডি’, ‘আনন্দ’। যেখানে একইসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে। তবে শুধু বড়পর্দা নয় ছোটপর্দাতেও অভিনয় করেছেন সুমিতাদেবী। পাশাপাশি তিনি বরাবরই যুক্ত ছিলেন থিয়েটারের সঙ্গে।
[জানেন, কিশোর কুমারের গান বাঁচিয়ে রাখতে কী উদ্যোগ এই প্রবাসী বাঙালির?]
রবিবার সকালে তাঁর মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া টলিপাড়ায়। সোশ্যাল সাইটে শোকপ্রকাশ করেছেন অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
টুইটারে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমবেদনা জানিয়েছেন তাঁর পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের।
The post প্রয়াত অভিনেত্রী সুমিতা সান্যাল appeared first on Sangbad Pratidin.