সুকুমার সরকার, ঢাকা: ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের গোড্ডায় নির্মিত আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট থেকে আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে আদানির জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠান থেকে সংবাদমাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়েছে। আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট থেকে গড়ে ৭৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছিল গত বছরের মার্চে। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে উৎপাদন শুরু হয় চলতি বছরের জুনে। কিন্তু ওই মাসেই ঝড়ের কারণে রহনপুরে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছিল। এর পর ত্রুটি ঠিকঠাক করে আবার উৎপাদন শুরু হয় কেন্দ্রটির।
বৃহস্পতিবার, এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির তরফে জানানো হয়, কারিগরি ত্রুটি সারানো হয়েছে। গত সোমবার ভোর পাঁচটার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়। সকাল ১০টা থেকে ৫১০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় এবং বেলা ১১টার দিকে তা বেড়ে ৭০২ মেগাওয়াটে পৌঁছায়। বিদ্যুৎকেন্দ্রটির দুটি ইউনিট থেকে গড়ে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যেত। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট আগে থেকেই বন্ধ ছিল। এর মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় গত শুক্রবার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আজ, বৃহস্পতিবার ফের বিদ্যুৎকেন্দ্রটির একটি ইউনিট থেকে আবারও সরবরাহ শুরু হয়েছে।
[আরও পড়ুন: তিস্তা প্রকল্প নিয়ে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে রাজি চিন, বাংলাদেশ থেকে বার্তা চিনা ‘দূতে’র]
এদিকে, এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেছেন, "প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব না থাকলে উন্নয়ন ধরে রাখা যাবে না। এ অঞ্চলে বাংলাদেশ প্রক্সি যুদ্ধ চায় না। অনেকে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তবে বাস্তবতা হল ভারতের সঙ্গে এই বন্ধুত্ব আওয়ামি লিগের অর্জন। এ সম্পর্কের জন্য বাংলাদেশ লাভবান হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "বাংলাদেশ ও ভারতের ভালো সম্পর্কের ফলে উভয় দেশের অনেক কিছু অর্জন হয়েছে। আমি এব্যাপারে গবেষণার আহ্বান জানাচ্ছি। অনেকে বলবেন, আমরা কিছুই অর্জন করতে পারিনি। কিন্তু আমাদের দেশ থেকে কয়েক লাখ মানুষ ভারতে যায় চিকিৎসার জন্য।" অন্যদিকে, দুদেশের সম্পর্কে গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গড়ে ওঠা বন্ধুত্বের বন্ধনকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।