সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট (Hindenburg report) প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানিদের সময় ভাল যাচ্ছে না। আদানি গ্রুপের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ারে ইতিমধ্যেই কোটি কোটি টাকা লোকসান হয়ে গিয়েছে। বিশ্বের ধনী বক্তিদের তালিকায় ক্রমশ নিচের দিকে নামছেন সংস্থার কর্ণধার গৌতম আদানি (Gautam Adani)। আগামী দিনে আদানিদের শেয়ারে আরও পতনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
কঠিন পরিস্থিতিতে একের পর এক পদক্ষেপ, সম্পত্তি বিক্রি, মূলধন প্রবেশ করিয়ে ঠিক যে সময় আদানিরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, তখনই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে আদানিদের সব সংস্থার ইনভেস্টর রিলেশনস (Investor Relations) বিভাগের প্রধান বালাসুব্রহ্মণ্যম দানতুর্তি নাকি সেই ডিসেম্বর মাস থেকে ছুটিতে রয়েছেন। অর্থাৎ যে সময় হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে এল তার ঠিক আগে আগেই সংস্থার এই শীর্ষকর্তাকে ছুটিতে পাঠিয়ে দেয় আদানিরা।
[আরও পড়ুন: ঋতুস্রাবের রক্ত পুজোয় ব্যবহার করেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা! পুলিশের দ্বারস্থ গৃহবধূ]
জানা গিয়েছে, বালাসুব্রহ্মণ্যমকে (Balasubramanyam Danturti) যে ছুটি দেওয়া হয়েছে সেটাকে পোশাকি ভাষায় বলা হয় ‘গার্ডেনিং লিভ’। এই সময় কর্মীরা সংস্থার কোনও কাজকর্ম না করলেও পূর্ণ বেতন পান। গত ডিসেম্বর থেকে বালাসুব্রহ্মণ্যম সবেতন ছুটিতেই রয়েছেন। আগামী জুন মাসে তাঁর অবসর নেওয়ার কথা। ততদিন পর্যন্ত বালাসুব্রহ্মণ্যমকে সংস্থায় ফেরানো হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। সাধারণত সংস্থা কর্মীদের এই ‘গার্ডেনিং লিভ’ দিয়ে থাকে সংস্থার কাজকর্ম থেকে তাঁদের দূরে সরিয়ে রাখতে।
[আরও পড়ুন: উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর সঙ্গে মেয়ের প্রেমে আপত্তি, বাড়িতে ঢুকে প্রেমিককে পিটিয়ে খুন!]
এখানে যে বালাসুব্রহ্মণ্যমের কথা বলা হচ্ছে, তাঁর মূল কাজই ছিল বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে সমন্বয়সাধন এবং যোগাযোগ স্থাপন করা। ঠিক এখানেই প্রশ্ন উঠেছে, কেন এ হেন গুরুত্বপূর্ণ কর্তাকে হঠাৎ সবেতন ছুটিতে পাঠানো হল? তিনি কি বিশেষ কোনও তথ্য জেনে গিয়েছিলেন, যা ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয় ছিল?