বাবুল হক, মালদহ: নাম না করে মালদা উত্তরের তৃণমূল প্রার্থীকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করে বিতর্কে জড়ালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। যা নিয়ে হতবাক জেলার রাজনৈতিক মহল। নির্বাচনী জনসভার মঞ্চ থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে প্রকাশ্যেই অশালীন, কুৎসিত ও কদর্য ভাষায় ব্যক্তিগত আক্রমণ করায় অধীরের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
এনিয়ে তৃণমূলের জেলা কমিটির সহ-সভাপতি বাবলা সরকার বলেন, "অধীরের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানানোর পাশাপাশি আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।" বুধবার দুপুরে চাঁচোলের হাজাতপুরে মালদহ উত্তর কেন্দ্রের দলীয় প্রার্থী মোস্তাক আলমের সমর্থনে একটি নির্বাচনী জনসভা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। সেই জনসভার মঞ্চ থেকে নাম না করে মালদহ উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দোপাধ্যায়কে কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করেন অধীর, এমনই অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: কনভয়ের মাঝে অতি দ্রুত বেগে আসা গাড়ির ধাক্কা, মাথায় চোট তৃণমূল প্রার্থী কাকলির]
উল্লেখ্য,আইপিএস (IPS) পদে ইস্তফা দিয়ে এসেছেন রাজনীতির ময়দানে এসেছেন প্রসূন বন্দোপাধ্যায়। তাঁকে এবার লোকসভা নির্বাচনে মালদা উত্তরের প্রার্থী করেছে তৃণমূল। তিনি মালদহের পুলিশ সুপার পদে এক সময় কর্মরত ছিলেন। রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটের ডিআইজি পদেও কাজ করেছেন প্রসূন। চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে এবার তৃণমূলের টিকিটে ভোটে লড়ছেন। এদিন চাঁচোলের ওই জনসভায় বহরমপুরের বিদায়ী কংগ্রেস সাংসদ অধীর তৃণমূল প্রার্থী তথা প্রাক্তন পুলিশ কর্তা প্রসূনের নাম না করে তাঁকে ক্রীতদাস বলে আক্রমণ করেন, চতুষ্পদ জন্তুর সঙ্গেও তুলনা করেন। বলেন, "সে আবার জনপ্রতিনিধি হবে আপনার! কানা ছেলের নাম পদ্মলোচন। আরে হিম্মত যদি থাকে পুলিশওয়ালে, হিম্মত যদি থাকে তৃণমূলের, এখানে সর্বদলীয় সভা হোক। সব প্রার্থী এখানে থাকবে। তাঁদের নিজের নিজের কথা বলবে। হিম্মত আছে?"
এখানেই থেমে থাকেননি অধীর। নাম না করে প্রাক্তন পুলিশ কর্তাকে কটাক্ষ করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি স্রেফ আনুগত্য দেখিয়েই কর্মজীবনে পদোন্নতি বাগিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন। বলেন, "খেটে খুটে নয়, দিদির ছবি দেখিয়ে ভোট নেবে? ও জামানা চলে গিয়েছে।" চাঁচোলের হাজাতপুর মাঠের এই জনসভা মঞ্চে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম-সহ স্থানীয় নেতারা। এনআরসি ইস্যুতেও এদিন অধীর বলেন, "এনআরসি হচ্ছে বিজেপি আর তৃণমূলের নির্বাচনী পণ্য। নির্বাচন এলেই এনআরসি আসে। মানুষকে ভুল বুঝিয়ে আতঙ্কিত করে লাভবান হতে চায় তৃণমূল আর বিজেপি।"