ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ফের প্রদেশ নেতৃত্বে বদলের জল্পনা। ইন্ডিয়া জোটের সমীকরণ যত পাকাপাকি রূপ নিচ্ছে, তত এই জল্পনা তীব্র হচ্ছে। বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি এই মুহূর্তে লোকসভার বিরোধী দলনেতা ছাড়াও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আবার পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে নির্বাচন কমিটিতে প্রথম পাঁচজনের মধ্যেও নাম অধীরের। এই পরিস্থিতিতে তাঁর উপর বাড়তি চাপ কমানোর প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে। আবার বঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে তারও পরিস্থিতি তৈরি রাখতে হবে। তেমন হলে রাজ্যে কট্টর তৃণমূল-বিরোধী ভূমিকা থেকে সরে আসতে হবে কংগ্রেস নেতৃত্বকে। এই প্রসঙ্গেই চলতি বছর দ্বিতীয়বার ঘুরে ফিরে এসেছে প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের নাম।
প্রদীপবাবু শেষবার তৃণমূলের সমর্থনে কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যসভায় গিয়েছিলেন। তৃণমূলের প্রতি তিনি ‘তুলনামূলক নরমভাবাপন্ন’ বলেও কোনও কোনও মহলে প্রচার রয়েছে। প্রদেশ নেতৃত্বের তরফে এমন জল্পনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া না হলেও দু’টি বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এক, দলটার নাম কংগ্রেস। এমনও হয়েছে প্রার্থী ঘোষণার পর দেওয়ালে নাম লিখেও তা মুছে গিয়েছে। ফলে জল্পনায় যা-ই থাকুক, সব নির্ভর করছে এআইসিসির উপর।
[আরও পড়ুন: সাংসদ-অভিনেত্রী নুসরত জাহানকে তলব ইডির, আগামী সপ্তাহে সিজিও কমপ্লেক্সে ডাক]
আর দুই, শেষপর্যন্ত যদি নেতৃত্বে বদল হয়ও, সেক্ষেত্রে অধীরের অনুমোদনে তাঁর পছন্দেরই কেউ দায়িত্ব হয়তো পাবেন। তার এই মুহূর্তে সব থেকে বড় কারণ দলে জাতীয়স্তরে অধীরের অবস্থান। এই বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রদীপবাবুর নাম সেদিক থেকেও এগিয়ে বলে জানাচ্ছে নেতৃত্ব। এক রাজ্য নেতার কথায়, অধীরবাবুর সঙ্গে প্রদীপবাবুর সমীকরণ অত্যন্ত ভাল। ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় বঙ্গের অংশে প্রদীপবাবু চেয়ারম্যান থাকলেও প্রতিপদে সভাপতির সঙ্গে আলোচনা সেরে নিতেন। তাছাড়া প্রদীপবাবু এই মুহূর্তে সকলের সিনিয়র। তাঁকে সভাপতি করা হলে দলের কোনও মহল থেকেই মেনে নিতে আপত্তি থাকবে না।
প্রাক্তন সাংসদ দেবপ্রসাদ রায়ের নামও আবার এই প্রসঙ্গে আলোচনায় এসেছে। একটি মহল অবশ্য সভাপতি পদে বদলের সঙ্গে সঙ্গে ৪ বা ৫ সদস্যের কার্যকরী সভাপতি দলের জল্পনার কথাও জানাচ্ছে। সেক্ষেত্রে নেপাল মাহাতো, মনোজ চক্রবর্তী, শঙ্কর মালাকার, শুভঙ্কর সরকার-সহ একজন মহিলা প্রতিনিধিও থাকতে পারেন।