সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বজুড়েই ওমিক্রন (Omicron) তাণ্ডব। এবছর বিশ্বের দেড় কোটি মানুষ নতুন করে করোনা (Coronavirus) সংক্রমণের শিকার হয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO। যদিও ওমিক্রন সংক্রমণের উপসর্গ খানিকটা মৃদু থাকায় হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছে ইউরোপের দেশগুলি। ফ্রান্স, জার্মানি, স্পেনে ওমিক্রনের দাপট অব্যাহত থাকলেও খানিকটা আশার রুপোলি রেখা দেখছেন ইউরোপের বিশেষজ্ঞরা।
স্পেনের প্রশাসন নাগরিকদের জানিয়েছে, করোনা এখন এন্ডেমিক ডিজিস। অর্থাৎ ফ্লু যেভাবে রয়েছে, তেমনই করোনাও থাকবে। একে নিয়ে মাথাব্যথা না বাড়িয়ে রোজের কাজ করে যাওয়াই বুদ্ধিমানের। সম্প্রতি ব্রিটেনের নাদিম জাহাউই বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ব্রিটেনে প্রতিদিন যেভাবে করোনা সংক্রমণের খবর আসছে, তার থেকে এটা স্পষ্ট হচ্ছে যে গোষ্ঠী সংক্রমণের মাধ্যমেই হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হবে। যে কারণে এই ওমিক্রনের মধ্য দিয়েই হয়তো করোনা অস্ত যাবে। আর তাই করোনা অতিমারী নিয়ে চিন্তার কারণ নেই।
[আরও পড়ুন: ইস্তফার চাপ বাড়ছে বরিসের, প্রথা ভেঙে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী পদে এবার ভারতীয় বংশোদ্ভুত?]
স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজ এই রেডিও স্টেশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, স্পেনে সংক্রমণ আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে তাতে সন্দেহ নেই। তবে কমেছে হাসপাতালে ভরতির পরিমাণ। কমেছে মৃত্যুহারও। তাই স্পেনের প্রধানমন্ত্রী জানাচ্ছেন, ওমিক্রন নিয়ে আরও তথ্য ঘেঁটে গবেষণা করে তারপরই আসল সিদ্ধান্তে আসা ঠিক হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হুঁশিয়ারি এড়িয়ে ওমিক্রনকে অনেকেই ‘লঘু’ করে দেখছেন। অনেকে আবার বলে দিয়েছেন, ওমিক্রনের মাধ্যমেই করোনামুক্তি ঘটতে পারে। আসলে ওমিক্রন করোনার অন্য স্ট্রেনের তুলনায় ওমিক্রন এতটাই বেশি মাত্রায় সংক্রামক যে এবার বিশ্ববাসীর অধিকাংশই সংক্রামিত হবেন। বিজ্ঞান বলে, বিপুল সংখ্যক মানুষ একটা নির্দিষ্ট স্ট্রেনে আক্রান্ত হলে জনগোষ্ঠীর মধ্যে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়। কেউ কেউ ইতিমধ্যে আশা প্রকাশ করেছেন, ওমিক্রনের এই বহুল সংক্রমণ সামগ্রিকভাবে প্রতিষেধকের কাজ করবে। সেটা হলে আলাদা করে আর প্রতিষেধক নিতে হবে না। যদিও ভ্যাকসিনের গুরুত্ব কতটা, তা নিয়ে বলার সময় এখনও আসেনি।
[আরও পড়ুন: টিকাকরণের পর নতুন করে করোনা প্রতিরোধ ক্ষমতা যাচাইয়ের প্রয়োজন নেই, বলছে ICMR]
তবে বেলজিয়াম কাউকেই টিকা নিতে জোর দিচ্ছে না। ফ্রান্স, জার্মানি কিন্তু দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওমিক্রন ‘মৃদু’ হলেও যাঁদের রোগ শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি, এবার এই তৃতীয় তরঙ্গে চিন্তা তাঁদের নিয়েই বেশি। যদিও সব মিলিয়ে আশা করা যায়, ওমিক্রনই হবে করোনার শেষের শুরু।