সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফের মুখ খুললেন পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলস (Stormy Daniels)। সোমবার তিনি জানান, ফের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আইনি পথে হাঁটাতে চলেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: চিনের বন্দিশিবিরে লাগাতার ধর্ষণের শিকার উইঘুর মহিলারা! উদ্বেগ প্রকাশ আমেরিকার]
এদিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রাক্তন অ্যাটর্নি মাইকেল কোহেন আয়োজিত একটি পডকাস্টে এসে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন স্টর্মি। তিনি জানান, তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা করবেন তিনি। স্টর্মি আরও দাবি করেন, ২০০৬ সালে ট্রাম্পের শয্যাসঙ্গিনী হওয়ার অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে অত্যন্ত তিক্ত। তাঁর কথায়, ”ওই ৯০ সেকেন্ড আমার জীবনের সবথেকে খারাপ সময়। এজন্য আমার নিজের প্রতিই এখন ঘৃণা হয়।” এর আগেও ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার সময় মুখ খুলেছিলেন স্টর্মি ড্যানিয়েলস। সেসময় নিজের বই ‘ফুল ডিসক্লোসার’-এ স্টর্মি লিখেছেন, মার্কিন ব্যবসায়ী ডোনাল্ড ট্রাম্প না কি কখনওই দেশের রাষ্ট্রপতি হতে চাননি। বইতে তিনি লিখেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যৌনতায় কোনও সুখই হয়নি তাঁর । এবং ভবিষ্যতে তিনি আর ট্রাম্পের সঙ্গে শয্যা ভাগ করতে চান না।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ এনে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলস। অভিযোগ, পালটা অভিযোগের পর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও দায়ের করেন তিনি। ২০০৬ সালে এক গল্ফ ইভেন্টে স্টর্মি ওরফে স্টেফানি ক্লিফোর্ডের সঙ্গে ট্রাম্পের প্রথম সাক্ষাৎ হয়। অভিযোগ, এরপরই তাঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ট্রাম্প। সেই সময় একটি ফিল্মে স্টর্মি ড্যানিয়েলস নামের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন ক্লিফোর্ড। এর ঠিক একবছর পরেই মেলানিয়াকে বিয়ে করেন ট্রাম্প। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের তথ্যানুসারে, ট্রাম্পের সঙ্গে অবৈধ যৌন সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে ক্লিফোর্ড প্রথম মুখ খোলেন ২০১৬-তে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্লিফোর্ডের সঙ্গে চুক্তিতে যায় ট্রাম্পের ব্যক্তিগত আইনজীবী মিখায়েল কোহেন। মুখ বন্ধ রাখতে ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার দেওয়া হয় ওই পর্নস্টারকে।