সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফার পর বর্তমানে শুধুই আম আদমি পার্টির প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়ার পর যন্তর মন্তরে প্রথম জনসভায় বিজেপি ও আরএসএসকে নিশানায় নিলেন কেজরি। বিজেপির বয়স বিতর্ক উস্কে দিয়ে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুড়লেন লালকৃষ্ণ আডবানী যদি ৭৫ বছর বয়সে অবসর নেন তাহলে মোদি নন কেন?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বয়স বিতর্ক জাতীয় রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। বার বার প্রশ্ন উঠেছে বিজেপির বয়স বিধি কি নরেন্দ্র মোদির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়? সেই প্রশ্নই আরও একবার উস্কে দিয়ে রবিবার কেজরিওয়াল বলেন, বয়সের কারণে রাজনীতি থেকে অবসর নিতে হয়েছিল লালকৃষ্ণ আডবানীকে। সেই নীতি কি মোদির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য? এছাড়া আরএসএসের উদ্দেশে আরও চারটি প্রশ্ন রাখেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। যেগুলি হল, এজেন্সিকে হাতিয়ার করে দেশজুড়ে বিরোধী দল ও বিরোধীদের সরকার ভাঙার ষড়যন্ত্র করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার যে কাজ বিজেপি করে চলেছে তার সঙ্গে কি আরএসএস একমত?
ভাগবতের কাছে কেজরির তৃতীয় প্রশ্ন হল, কোনও নেতা বিপুল দুর্নীতিতে জড়িত, তা জানার পরও শুধুমাত্র রাজনৈতিক স্বার্থে বিজেপি তাঁকে দলে নিয়ে নিচ্ছে। এই রাজনীতি সম্পর্কে আরএসএস কি অবগত? যদি বিষয়টি তাঁরা জেনে থাকেন তাহলে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মোহন ভাগবতও সহমত? সবশেষে আরএসএস ও বিজেপির সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন কেজরিওয়াল। বলেন, বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডা লোকসভা নির্বাচনের দাবি করেন, বিজেপি নিজের কাজ নিজেই করতে সক্ষম। আরএসএস নিজের মতো কাজ করে। এ বিষয়ে ভগবতের কী মত?
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদির বয়স বিতর্ক বিজেপিতে নতুন কিছু নয়। লোকসভা নির্বাচনের আগেও এই ইস্যুতে মুখ খুলেছিলেন কেজরিওয়াল। যার জবাবে অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, “৭৫ বছর বয়সেই অবসর নিতে হবে, এমন কোনও কথা বিজেপির সংবিধানে লেখা নেই। ক্ষমতায় ফিরলে মোদি নিজের মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। আগামী দিনেও দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। বিজেপির অন্দরে এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই।” যদিও পালটা প্রশ্ন ওঠে ‘কুরসির মোহে’ নিজের তৈরি করা নিয়ম নিজেই ভাঙছেন মোদি। এবার সেই ইস্যুতে আরএসএসের কাছে জবাব চাইলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।