সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যি হল আশঙ্কা। আফগানিস্থান (Afghanistan) থেকে আমেরিকা (America) সেনা সরানো শুরু করতেই সেদেশে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে তালিবান (Taliban)। আর সেকারণে ফের উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে পাকিস্তানের পড়শি দেশটি। বিগত কয়েকদিনে নতুন করে আবারও রক্তপাত, সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই শুরু হয়েছে সেখানে। ইতিমধ্যে আফগানিস্থানের মেইদান ওয়ারদক প্রদেশের দুটি জেলা নাকি তালিবানিরা দখলও করে ফেলেছে। আর এতেই অশনি সংকেত দেখতে পাচ্ছেন অনেকে।
গত ১২ মে থেকে ১৫ মে পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল তালিবান। কিন্তু ১৫ মে-র পর থেকে ফের উত্তপ্ত আফগানিস্থান। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই দিনের পর থেকে অন্তত ১৮টি জেলায় তালিবান ও আফগান সেনার মধ্যে সংঘর্ষের খবর সামনে এসেছে। এর মধ্যেই শুক্রবার মেইদান ওয়ারদক প্রদেশের এক সাংসদ জানান, এই প্রদেশের জালরেজ জেলা ইতিমধ্যে তালিবানের দখলে চলে গিয়েছে। টানা তিনদিন ওই জেলায় ভয়ংকর আক্রমণও চালিয়েছে এই জঙ্গিগোষ্ঠী। গুলির লড়াইয়ে শহিদ হয়েছেন সাতজন জওয়ান। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জঙ্গিরও। তবে ইতিমধ্যে ওই জেলার গর্ভনরের অফিস এবং পুলিশ হেড-কোয়ার্টারও তালিবান জঙ্গিদের দখলে চলে গিয়েছে। পাশাপাশি অনেক জওয়ানকে নাকি বন্দিও করেছে তালিবানিরা। ইতিমধ্যে জেলাটি দখলের কথাও জানিয়ে দিয়েছে জঙ্গিরা।
[আরও পড়ুন: ১১ দিনের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করল ইজরায়েল ও হামাস]
এর আগে দওলত শাহ জেলাও নিজেদের দখলে নিয়ে ফেলেছে তালিবানরা। যদিও আফগানিস্থানের প্রতিরক্ষামন্ত্রক তাদের সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছে। তবে ওই এলাকায় অশান্তির কথা স্বীকার করে নিয়েছে তাঁরা। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত আফগানিস্থান। তবুও যথাযথভাবে ক্ষমতা বিনিময় না করেই সেদেশ ছাড়ছে মার্কিন সেনা। তবে এভাবে মার্কিন (US) সেনা সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে আগামী দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই দেশটির সিংহভাগ চলে যেতে পারে তালিবানের কবজায়। সক্রিয় হয়ে উঠবে জঙ্গি সংগঠন আল কায়দা। গত মার্চ মাসেই বাইডেন প্রশাসনকে এব্যাপারে সতর্ক করেছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। কিন্তু তবুও মে মাসের ১ তারিখ থেকে যুদ্ধজর্জরিত দেশটিতে থাকা ২ হাজার ৫০০ সৈনিক ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে আমেরিকা। ফলে ন্যাটো গোষ্ঠীর অন্য সদস্য দেশগুলিও নিজেদের সৈনিকদের ফিরিয়ে আনছে। আর এতেই ফের একবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে তালিবান জঙ্গিগোষ্ঠী।