সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যুদ্ধজর্জর আফগানিস্তানে (Afghanistan) শুরু হতে চলেছে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা। শুক্রবার অর্থাৎ ৩ সেপ্টেম্বর থেকেই অন্তর্দেশীয় বিমান চলাচলের কথা জানিয়েছে দেশটির সরকারি বিমান সংস্থা ‘আরিয়ানা আফগান এয়ারলাইন্স’। তবে আন্তর্জাতিক পরিষেবা শুরু হতে এখনও দেরি আছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: কাশ্মীর ইস্যুতে ভোলবদল তালিবানের, ভারতের উদ্বেগ বাড়িয়ে মুসলিমদের সঙ্গে কথা বলার ঘোষণা]
আফগান সরকারি বিমান সংস্থাটির সিনিয়র ম্যানেজার তামিম আহমদিকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, শুক্রবার অর্থাৎ আজ থেকেই দেশের মধ্যে যাত্রীবাহী বিমান পরিষেবা শুরু হবে। এর জন্য তালিবান নেতৃত্ব সম্মতি দিয়েছে। এদিকে, আল জাজিরা জানিয়েছে, কাবুল বিমানবন্দরকে ফের কার্যক্ষম করে তুলতে কাতার থেকে বিশেষজ্ঞ দল আফগানিস্তানে এসেছে। গত সোমবার, বুধবার ও বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে পৌঁছেছেন কাতারের বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যে কাজও শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, কাবুল বিমানবন্দরের অবস্থা শোচনীয় হলেও মাজার-ই-শরিফ ও কান্দাহার বিমানবন্দরগুলিতে পরিষেবা বহাল করা যেতেই পারে।
মার্কিন বাহিনী (US Troop) আফগানিস্তান ছাড়তেই কাবুল বিমানবন্দরের দখল নিয়েছে তালিবান (Taliban)। ‘যুদ্ধজয়ের’ আনন্দে রকেট ছুড়েছে তারা। কোথাও আবার বিমান ওড়ানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অবস্থা খুবই শোচনীয়। বিমানবন্দরে থাকা অধিকাংশ বিমানই অকেজো করে দিয়েছে মার্কিন সেনা। আর সেগুলিকে সারিয়ে কাজে লাগানোর মতো বুদ্ধি বা সামর্থ্য কোনওটাই নেই তালিবদের। বিমানবন্দরটিতে পড়ে আছে বেশ কয়েকটি সামরিক হেলিকপ্টার ও বিমান। তবে কোনওটার ইঞ্জিন নেই তো কোনওটার প্রপেলার হাওয়া। ফলে সেগুলিকে আর কাজে লাগানো সম্ভব নয়। এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তালিবান।
জানা গিয়েছে, দেশ ছাড়ার আগেই আফগান বায়ুসেনার ৭৩টি বিমান অকেজো করে দেয় মার্কিন ফৌজ। কাবুল বিমাবন্দর দখল করলেও তা পরিচালনা করার মতো দক্ষতা নেই তালিবানের। বিশেষ করে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে শুরু করে রানওয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করার মতো পরিকাঠামো এই মুহূর্তে কাবুল বিমানবন্দরে নেই। আর বিমানবন্দরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মীদের প্রায় সকলেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন। একইসঙ্গে, কোনও বিদেশি বাণিজ্যিক বিমানসংস্থা আফগানিস্তানে পরিষেবা দিতে রাজি নয়। এহেন পরিস্থিতিতে তুরস্ক ও কাতারের কাছে বিমানবন্দরটি পরিচালনা করার আবেদন জানিয়েছে তালিবান বলে সূত্রের খবর।