সংবাদ প্রতিদিন জিটাল ডেডিস্ক: আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবান (Taliban)। প্রাণ বাঁচাতে সেদেশ থেকে পালিয়ে আমেরিকায় আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার আফগান শরণার্থী। কিন্তু বেশ কয়েকজন বৃদ্ধ বা অতিবৃদ্ধ শরণার্থীর সঙ্গে নাবালিকা স্ত্রী দেখে হতবাক মার্কিন আধিকারিকরা। ওই ‘বালিকাবধূ’দের মধ্যে অনেকেরই বয়স মাত্র ১২ বছর।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: আমেরিকার ফেলে যাওয়া প্লেনে দোল খাচ্ছে তালিবান জঙ্গি! হেসে খুন চিন]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘ডেইলি মেল’ সূত্রে খবর, আমেরিকায় (America) আশ্রয় নিতে আসা বেশ কয়েকজন বৃদ্ধ আফগান শরণার্থীর সঙ্গে রয়েছে নাবালিকা স্ত্রী। অভিযোগ, আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে আসতে মরিয়া হয়ে এই ‘বিত্তশালি’ বৃদ্ধদের সঙ্গে নাবালিকা কন্যার বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে অনেক পরিবার। এই ‘বালিকাবধূ’দের অনেককেই আবার ধর্ষণের শিকার হতে হয়েছে বলে অভিযোগ।
কাতারের রাজধানী দোহায় আফগান শরণার্থীদের জন্য ‘ট্রানজিট ক্যাম্পে’ মার্কিন অধিকারিকদের কাছে এই বিষয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ জমা পড়েছে। আফগানিস্তান থেকে আসা ওই কিশোরীদের অনেকেই দাবি করেছেন দেশ ছেড়ে আসার বিনিময়ে তাদের শরীর বিকিয়ে দিতে হয়েছে। ভয়াবহ ধর্ষণের শিকার হয়েছে তারা। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসের ৩০ তারিখ কাবুল বিমানবন্দর থেকে উড়ে যায় শেষ মার্কিন বিমান। প্রায় দুই দশক ধরে চলা ‘সন্ত্রাস বিরোধী যুদ্ধে’ ইতি টানে আমেরিকা। ততদিনে মার্কিন নাগরিক-সহ প্রায় ১ লক্ষ ২৪ হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে বের করে এনেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন। বর্তমানে তাঁদের অনেককেই উইসকনসিনের মতো বিভিন্ন সেনাশিবির ও ক্যাম্পে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যে আফগানরা মার্কিন সেনার সঙ্গে কাজ করেছিলেন জরুরি ভিত্তিতে তাঁদের মার্কিন নাগরিকত্ব বা দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা দেওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে, আফগানিস্তানে তালিবানের (Taliban) রাজত্ব শুরু হতেই বেড়েছে নারী নির্যাতনের ঘটনা। কয়েকদিন আগে শুধুমাত্র আঁটসাঁট পোশাক পরার জন্যই এক মহিলাকে গুলি করে খুন করে জেহাদিরা। এহেন পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও রুখে দাঁড়িয়েছেন আফগান মহিলাদের একাংশ। তালিবানকে তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন যে শরিয়ত রীতিনীতি মেনে তারা বোরখা পরতে রাজি আছেন, তবে বিনিময়ে মেয়েদের স্কুলে যেতে দিতে হবে। কিন্তু নৃশংসভাবে প্রতিবাদ দমন করছে তালিবরা। সবমিলিয়ে, আফগান মহিলাদের চরম নিপীড়ন সইতে হচ্ছে।