shono
Advertisement

বিস্ফোরণে রক্তাক্ত আফগানিস্তান, তালিবানপন্থী ধর্মগুরু-সহ নিহত অন্তত ১৮

হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেটের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
Posted: 08:21 PM Sep 02, 2022Updated: 08:21 PM Sep 02, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়াবহ বিস্ফোরণে কাঁপল আফগানিস্তান। বুধবার হেরাত প্রদেশের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় জেহাদিরা। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে এক প্রভাবশালী তালিবানপন্থী ধর্মগুরু-সহ অন্তত ১৮ জনের। আহত কমপক্ষে ২১। এই হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেটের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্রবার নমাজ পড়ার ঠিক আগে হেরাতের গাজারগাহ মসজিদে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। ওই হামলায় মৃত্যু হয়েছে প্রভাবশালী তালিবানপন্থী মুসলিম ধর্মগুরু মুজিব রহমান আনসারি। হামলায় তাঁর ভাই-সহ বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষীও নিহত হয়েছেন বলে খবর। প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃত করে বিবিসি জানিয়েছে, শুক্রবার নমাজে পাঠ করানোর জন্য মসজিদে আসেন আনসারি। তখনই তাঁর দিকে দৌড়ে গিয়ে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় এক জঙ্গি। মুহূর্তে কালো ধোঁয়া ও বারুদের হোঁদহে ভরে যায় আশপাশ। প্রশাসন সূত্রে খবর, এপর্যন্ত ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত অন্তত ২১। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: বন্যা বিপর্যস্ত পাকিস্তানে ত্রাণের লোভ দেখিয়ে হিন্দু যুবতীকে গণধর্ষণ, প্রতিবাদে সামিল পাক অভিনেত্রী]

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে তালিবান। দেশটির শাসকদলের মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছে। এহেন ‘বর্বর’ ও ‘কাপুরুষোচিত’ হামলার ষড়যন্ত্রকারীদের রেয়াত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। এই হামলার নেপথ্যে ইসলামিক স্টেটের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের আগস্ট মাসে কাবুল দখল করে তালিবান (Taliban)। মার্কিন ফৌজ বিদায় নিলেও আখুন্দজাদার সংগঠনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠে আইএস। মার্কিন ফৌজ সরে যাওয়ার পর কাবুল বিমানবন্দর-সহ একাধিক তালিবান নেতার উপর হামলা চালায় খোরাসানের জঙ্গিরা। শুধু তাই নয়, দেশটির সংখ্যালঘু শিয়া সম্প্রদায়কে নিশানা করছে জঙ্গিরা।

তালিবান ও আইএস (ISIS) দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়। কিন্তু ফের শক্তি সংগ্রহ করছে তারা।

[আরও পড়ুন: ট্রিগার টিপলেও বেরল না গুলি, অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচলেন আর্জেন্টিনার ভাইস প্রেসিডেন্ট]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement