shono
Advertisement

মার্কিন প্রস্তাব উড়িয়ে ছ’মাসের মধ্যেই ভোট ঘোষণা করতে পারেন আফগান প্রেসিডেন্ট ঘানি

আমেরিকায় আস্থা নেই প্রেসিডেন্ট ঘানির!
Posted: 02:22 PM Mar 24, 2021Updated: 02:22 PM Mar 24, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে জর্জর আফগানিস্তানে (Afghanistan) তুঙ্গে রাজনৈতিক ডামাডোল। মে মাসের ১ তারিখের মধ্যে আমেরিকার ফৌজ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে অশনি সংকেত দেখছেন গণতন্ত্রকামীরা। এহেন পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রস্তাব উড়িয়ে আগামী ছ’মাসের মধ্যে দেশে নির্বাচন ঘোষণা করতে পারেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাশিয়ায় প্রশিক্ষণ শেষ ৪ ভারতীয় নভোশ্চরের, জোরকদমে ‘মিশন গগনযান’-এর প্রস্তুতি]

কাবুলের রাজনৈতিক অলিন্দে গুঞ্জন, আমেরিকার উপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না প্রেসিডেন্ট ঘানি। তিনি মনে করছেন দেশ থেকে মার্কিন ফৌজ সরে গেলে তালিবানের উপর লাগাম টানা সম্ভব হবে না। দেশে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া অত্যন্ত জরুরি। বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালে ২৯ ফেব্রুয়ারি কাতারের রাজধানী দোহায় শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করে আমেরিকা ও তালিবান (Taliban)। সেই চুক্তি মতো মে মাসের ১ তারিখের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে ন্যাটো ও মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে। এছাড়া, তালিবান ও আফগান সরকারের মধ্যে শান্তি ফেরাতে তথা নয়া প্রশাসন গড়তে আশরফ ঘানির সরকারের পরিবর্তে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গড়ার প্রস্তাব দিয়েছে আমেরিকা। কিন্তু এই প্রস্তাব মানতে নারাজ প্রেসিডেন্ট ঘানি। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, আগামী মাসে তুরস্কে আলোচনায় বসতে চলেছে কাবুল ও তালিবানের প্রতিনিধিরা। সেখানেই নির্বাচনের কথা ঘোষণা করতে পারেন ঘানি। তবে তিনি শর্ত দিয়েছেন, আলোচনায় তালিবান প্রধান হায়বতুল্লা আখুনজাদা বা তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরে ছেলে মোল্লা য়াকুবকে থাকতে হবে। এর অন্যথায় আলোচনা হবে না।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিনে সরকারি বাহিনী ও সাধারণ নাগরিকদের উপর বেশ কয়েকটি রক্তক্ষয়ী হামলা চালিয়েছে তালিবান। ফলে ধাক্কা খেয়েছে শান্তি প্রক্রিয়া। আমেরিকার চাপে আলোচনায় বসলেও এবার আফগান সরকার জঙ্গিদের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে। কান্দাহারে সেনা অভিযান সরকারের কড়া জবাবেরই অংশ। প্রসঙ্গত, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আফগানিস্তানে শাসন করেছে তালিবান। শরীয়ত আইনের নামে তাদের অত্যাচার ও বামিয়ানে বুদ্ধমূর্তি ধ্বংসের কথা আজও ভোলেনি বিশ্ব। এহেন পরিস্থিতিতে ফের দেশটির রাশ তালিবানের হাতে গেলে পরিস্থিতি যে কী দাঁড়াবে, তা বুঝে নিতে বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন হয় না।

[আরও পড়ুন: লাগাতার বিক্ষোভে চাপের মুখে মায়ানমারের সেনাশাসকরা, অবশেষে মুক্ত সাংবাদিক]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement