সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মেয়েদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা বন্ধ করে দিয়েছে তালিবান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে নিজের ডিগ্রি ছিঁড়ে ফেললেন কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের (Kabul University) এক অধ্যাপক। একটি টিভি শোয়ে এসে তিনি বলেন, মেয়েদের শিক্ষার অধিকার না থাকলে তাঁর নিজের পড়াশোনারও কোনও মূল্য নেই। এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দিতে রাজি নন তিনি। ডিগ্রি ছিঁড়ে ফেলার ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে নেট দুনিয়ায়।
সম্প্রতি আফগান মহিলাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার উপরে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তালিবান। মৌলবাদী শাসকরা স্পষ্ট করেছে, এই বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানানোর আগে অবধি মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার অধিকার থাকছে না। এর ফলে কার্যত নয়ের দশকের পরিস্থিতি ফিরে এল আফগানিস্তানে (Afghanistan)। আখুন্দজাদার দলের এহেন ফতোয়ায় উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়ে গিয়েছে লক্ষ লক্ষ ছাত্রীর। একসঙ্গে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন আফগান ছাত্র-ছাত্রীরা।
[আরও পড়ুন: বিবাদের কারণ নম্বর প্লেট! যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু করল সার্বিয়া]
এই পরিস্থিতিতেই একটি টিভি শোয়ে উপস্থিত ছিলেন কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপক (Afghan Professor)। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কাগজ ছিঁড়ে ফেলছেন তিনি। সেই সঙ্গে বলছেন, “আজ থেকে এই ডিগ্রিগুলো আর প্রয়োজন নেই। কারণ এই দেশে পড়াশোনার মতো পরিবেশ নেই। যেদেশে আমার মা-বোনদের পড়াশোনা করার অনুমতি নেই, সেখানে থেকে আমি এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে মেনে নিতে পারব না।” আফগানিস্তানের বিখ্যাত সমাজকর্মী শবনম নাসিমি এই ঘটনার ভিডিও শেয়ার করেছেন।
উল্লেখ্য, তিন মাস আগেই আফগানিস্তানের হাজার হাজার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা দিয়েছিলেন। বস্তুত তাঁদের স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেল নয়া নির্দেশে। গত কয়েক মাসে একের পর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে মহিলাদের উপরে। মিডল স্কুল ও হাই স্কুলে পড়াশোনায় নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। মেয়েদের কাজ করার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হয়। এছাড়াও রাস্তায় একা চলাফেরা, বোরখা পরা নিয়েও কঠোর নিয়ম জারি করা হয়েছে। সঙ্গে একজন পুরুষ না থাকলে পার্ক ও জিমে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না মেয়েদের।