সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদীর বিনিময়ে কুলভূষণ যাদবকে ফেরত দেওয়ার ‘লোভনীয় প্রস্তাব’ দেওয়া হল পাকিস্তানকে। পাকিস্তানের পেশোয়ারে ২০১৪ সালের ডিসম্বর মাসে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্কুলে হামলা চালিয়ে ১৫০ জন শিশু ও কিশোরকে গুলি করে মেরে ফেলেছিল তালিবান। হামলার মূল চক্রী আফগানিস্তানে বসে পুরো ছক কষে। হামলা চালিয়ে কয়েকজন জঙ্গি ফের সীমান্ত পেরিয়ে আফগানিস্তানেই গা ঢাকা দেয়। হামলাকারী তালিবান জঙ্গি নেতা এখনও পাকিস্তানের মোস্ট ওয়ান্টেড। তাকে আজও যে কোনও মূল্যে পেতে চায় ইসলামাবাদ। এবার তাকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে তৎপর হয়েছে আফগানিস্তান সরকার। তবে কাবুলের প্রস্তাব হল, গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আটক ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডার ৪৬ বছরের কুলভূষণ যাদবকে আফগানিস্তানের হাতে নিঃশর্তে তুলে দিতে হবে। ওই জঙ্গি নেতার বিনিময়ে কুলভূষণকে ফেরত চায় আফগানিস্তান।
[ভোটার লিস্ট থেকে বাদ খোদ অটলবিহারী বাজপেয়ীর নাম!]
পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী খোয়াজা মহম্মদ আসিফ জানিয়েছেন, আর্মি পাবলিক স্কুলের জঘন্য হত্যাকারীকে হাতে পাওয়ার জন্য এই প্রস্তাব এসেছে। নিঃসন্দেহে প্রস্তাবটি লোভনীয়। প্রস্তাবটি দিয়েছেন আফগানিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। প্রস্তাবটি পেয়েছে পাক বিদেশমন্ত্রক। প্রস্তাবটি খুব গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখছে ইসলামাবাদ। কিন্তু ওই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গির নাম কী? আফগান সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার নাম কী? তার জবাবে সরকারি গোপনীয়তার খাতিরে কিছু বলতে চাননি পাক বিদেশমন্ত্রী আসিফ।
উল্লেখ্য, পাক সেনা স্কুলে হামলার পর ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা র-এর দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছিল পাকিস্তান। ইসলামাবাদের অভিযোগ ছিল, আফগানিস্তান হল ভারতের খুব বন্ধু দেশ। সেখানে র-এর শক্তিশালী ঘাঁটি রয়েছে। আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করেই ইসলামিক জঙ্গিদের মদত দিচ্ছে ‘র’ এবং তারাই পাকিস্তানে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। পাক হুমকি ছিল, সেনা স্কুলে হামলার জবাব পাবে ভারত। ভারত সঙ্গে সঙ্গে পাক অভিযোগ খারিজ করে।
পাক মিডিয়ার ব্যাখ্যা, ভারতীয় চর এবং র—এর অফিসার কুলভূষণের থেকেও পাকিস্তানের কাছে খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেনা স্কুলে হামলাকারী জঙ্গি নেতাকে হাতে পাওয়া। তাই পাকিস্তান প্রস্তাবটি পাওয়া মাত্র খারিজ করেনি বা উড়িয়ে দেয়নি। তবে ভারত সরকার যে ঘুর পথে, বুদ্ধি খাটিয়ে কুলভূষণকে হাতে পেতে চাইছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ কুলভূষণ আফগান সরকারের বা আফগান সেনার হাতে চলে আসা মানেই কয়েকদিনের মধ্যেই তিনি ভারত সরকারের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসবেন। তাই পাকিস্তান যাচাই করার চেষ্টা করছে যার বদলে কুলভূষণকে ফেরত চাওয়া হচ্ছে সেই জঙ্গি নেতাটি ভুয়া কি না বা সেই’ই আসলে পেশোয়ারে সেনা স্কুলে হামলায় জড়িত কি না। উল্লেখ্য, দ্য হেগ শহরের আন্তর্জাতিক ন্যায় আদালতে ফের শুনানি হবে কুলভূষণের মুক্তি নিয়ে মামলাটি।
[প্রতিবেশী দেশের উসকানিতেই রোহিঙ্গা জঙ্গিদের হাতে মৃত্যু হিন্দুদের!]
The post ‘জঙ্গি নাও কুলভূষণ দাও’, পাকিস্তানের কাছে নয়া প্রস্তাব appeared first on Sangbad Pratidin.