রাজ কুমার, আলিপুরদুয়ার: করোনার আতঙ্কে ‘ত্রাহি ত্রাহি’ রব। তারই মাঝে এবার নয়া আতঙ্ক। প্রতিবেশী দেশ ভুটানে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের (African Swine Fever) থাবা। আক্রান্ত বহু শূকর। তার জেরে ভুটান সীমান্ত লাগোয়া আলিপুরদুয়ারেও জারি হল সতর্কতা। আপাতত শূকরের মাংস বিক্রির ক্ষেত্রে জারি নিষেধাজ্ঞা।
ভারত-ভুটান সীমান্তের জয়গাঁতে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের আতঙ্ক কাটাতে সোয়াইন ফ্লু টিকা দেওয়া শুরু করল প্রশাসন। জয়গাঁ ডেভলপমেন্ট অথরিটির অধীনস্থ এলাকায় খামারগুলিকে চিহ্নিত করে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, শনিবার জয়গাঁ ১, জয়গাঁ ২ ও দলসিংপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এলাকায় খামারগুলিতে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ ভুটানে (Bhutan) আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের জীবাণু মিলেছে। সেই কারণে ভুটান সরকার তিনদিন আগেই আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরকে একটি চিঠি দিয়ে সর্তকতা জারি করে। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভারত ভুটান সীমান্তে শূকরের শরীরে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু করেছে প্রশাসন।
[আরও পড়ুন: ‘মুখ্যমন্ত্রীর মুখে সংবিধান, মানসম্মানের কথা মানায় না’, কটাক্ষ দিলীপের]
আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরীশ চন্দ্র বেরা বলেন, “সম্প্রতি ভুটান আমাদেরকে একটি চিঠি দিয়ে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভার ছড়িয়ে পড়ার সর্তকতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছিল। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছি। শূকরের খামারগুলো চিহ্নিত করে টিকাকরণ করা হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও শূকরের শরীরে আফ্রিকান সোয়াইন ফিভারের জীবাণু পাওয়া যায়নি। শূকর থেকে মানুষের মধ্যেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সেই কারণে অগ্রিম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।” বিষয়টি নিয়ে আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসক সুরেন্দ্রকুমার মীনা বলেন, “রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকেই প্রাণীসম্পদ দপ্তরের মাধ্যমে এই টিকাকরণ শুরু হয়েছে। তবে আতঙ্কের কোনও কারণ নেই।”