সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভুল ট্রেনে চড়ে হারিয়ে গিয়েছিলেন। তারপর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ বছর। মেয়ে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন ভেবেছিলেন তিনি হয়ত আর বেঁচে নেই। সেইমতো শ্রাদ্ধের কাজও সম্পন্ন করে ফেলে পরিবার। অবশেষে ২৫ বছর পর বাড়িতে ফিরে এলেন প্রৌঢ়া। এত বছর পর বাড়ির সদস্য বাড়ি ফিরে আসায় আনন্দে মাতলেন প্রিয়জনরা।
জানা গিয়েছে, কর্নাটকের বল্লারির দানানায়াকানাকেরে গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন সাকাম্মা। ২৫ বছর বয়সে এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে পরিবারের সঙ্গে যান তিনি। তবে ফেরার সময় বাধে সমস্যা। ভুল করে চণ্ডীগড়ের ট্রেনে চড়ে বসেন তিনি। এর পর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। যুবতী বয়সে হারিয়ে গিয়ে অবশেষে বাড়ি যখন ফিরলেন তখন তিনি প্রৌঢ়া। জানা যায়, গত ২৫ বছর ধরে উত্তর ভারতের নানা জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। অবশেষে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার এক বৃদ্ধাশ্রমে খোঁজ পাওয়া যায় তাঁর। এখন তাঁর বয়স ৫০ বছর।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বাড়ির মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল পরিবার। তবে তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের দরজায় বার বার ঘুরে হতাশ হয়ে আশা ছেড়ে দেন তাঁরা। মেয়েকে মৃত ভেবে শ্রাদ্ধও সম্পন্ন করে ফেলে পরিবার। অবশেষে তাঁর খোঁজও মেলে আশ্চর্য ভাবে। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি মান্ডির ওই বৃদ্ধাশ্রমে গিয়েছিলেন এক আইপিএস অফিসার। সেখানে কন্নড় ভাষায় এক মহিলাকে কথা বলতে শুনে আশ্চর্য হন তিনি।
সেখানে তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ গল্প করার পর মহিলার মুখ থেকে তাঁর হারিয়ে যাওয়ার সব ঘটনা শোনেন। এর পর ওই আইপিএস আধিকারিক যোগাযোগ করেন সোশাল ওয়েলফেয়ার ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে। তদন্তে নেমে মহিলার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এবং তদন্তকারীরা নিশ্চিত হন ২৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া সাকাম্মা নামের মহিলা তিনিই। যুবতী বয়সে হারিয়ে যাওয়া প্রৌঢ়াকে অবশেষে ফেরানো হয় তাঁর নিজের বাড়িতে।