স্টাফ রিপোর্টার, নয়াদিল্লি: সুরাটের দায়রা আদালতেও স্বস্তি মেলেনি। সাংসদ পদ ফেরত পাওয়া তো দূরের কথা, ‘মোদি’ মন্তব্যের জন্য রাহুল গান্ধীর সামনে এখন জেলযাত্রার ভ্রুকুটি। দ্রুত হাই কোর্টে স্বস্তি না পেলে রাহুলকে (Rahul Gandhi) জেলের ঘানি টানতে হবে। যদিও চুপচাপ বসে থাকছে না দল। শনিবারের মধ্যেই দায়রা আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গুজরাট হাই কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছে কংগ্রেস।
গত ২৩ মার্চ মানহানি-মামলায় রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের কারাদন্ড দেয় সুরাতের আদালত (Surat Court)। কংগ্রেস নেতার আইনজীবী আত্মপক্ষ সমর্থনের পাশাপাশি তাঁর সাজা অন্তত একদিন কমিয়ে দেওয়ার অনুরোধও করেন। এদিন তারই রায়দানে কংগ্রেস নেতার আবেদন খারিজ করেন বিচারক পি মোগেরা। পর্যবেক্ষণে বলেন, একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে শব্দচয়নে তাঁর আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত ছিল। এটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
[আরও পড়ুন: বাম আমলের চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভারের নকশায় গলদ, বিপদের আশঙ্কায় ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত পুরসভার]
কংগ্রেস (Congress) সূত্রের খবর, দায়রা আদালতের এই রায় তাদের জন্য খানিকটা অপ্রত্যাশিতই। তবে তাতে থেমে না গিয়ে দলের লিগ্যাল সেল এবার যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আসরে নামছে। শনিবারের মধ্যেই গুজরাট হাই কোর্টে আরজি দায়ের করা হবে। কংগ্রেস নেতাদের প্রাথমিক লক্ষ্য হবে রাহুলের জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা। না হলে কংগ্রেস নেতাকে জেলে ঢুকে যেতে হবে। তারপর তাঁর শাস্তি কমানোর বা বাতিল করার চেষ্টা করা হবে।
[আরও পড়ুন: টুইটারে আর ‘কুলীন’ নন শাহরুখ-বিরাটরা! ‘ব্লু টিক’ হারালেন রাহুল-মমতাও]
এসবের মধ্যে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, আর যাই হোক সাংসদ পদ এখনই ফিরে পাচ্ছেন না রাহুল। যার অর্থ তাঁকে ২৩ এপ্রিলের আগেই দিল্লির বাংলো খালি করতে হবে। আর সেটার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছেন রাহুল। সূত্রের খবর, ২২ এপ্রিল অর্থাৎ শনিবারই দিল্লির ১২ তুঘলক রোডের সরকারি বাংলো খালি করে দেবেন। ওয়ানড়ের প্রাক্তন সাংসদ অবশ্য এই পরিস্থিতির জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলেন। তিনি জানতেন সুরাটের দায়রা আদালতে স্বস্তি পেলেও তাঁর সাংসদ পদ এখনই ফেরানো হবে না। সেকারণেই আগেভাগে বাড়ি ফাঁকা করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর জিনিসপত্রও কয়েক দিন আগেই ট্রাকে করে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাহুল এখন কোথায় থাকবেন, সেটাই দেখার।