সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় ২০ বছর পর প্রথম হিন্দু মন্দির পেল আয়ারল্যান্ড। ২২ আগস্ট দেশটির অন্যতম বড় শহর ডাবলিনে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হল হিন্দু মন্দির। বহুদিন ধরেই দেশটিতে বাস করা ভারতীয় হিন্দুরা মন্দির নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। শেষমেশ এবার তাঁদের সেই ইচ্ছা পূরণ হল।
[আরও পড়ুন: যুদ্ধবিমান নিয়ে ‘কাজিয়া’, আমেরিকা ও ইজরায়েলের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করল আমিরশাহী]
'দ্য রিপাবলিক অফ আয়ারল্যান্ড' বা আয়ারল্যান্ড প্রজাতন্ত্রে এখন প্রায় ২৫ হাজার হিন্দুর বসবাস। এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে কোনও ধর্মীয় উৎসবে একত্রিত হওয়ার জন্য বা প্রার্থনা করার জন্য তাঁদের কোনও স্থায়ী জায়গা ছিল না। প্রার্থনা বা যে কোনও অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়া নিতে হত কমিউনিটি হল। এবার ডাবলিনের মন্দিরটি হাতে পাওয়ায় রীতিমতো খুশি সে দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বিরা। আয়ারল্যান্ডের বৈদিক হিন্দু সংস্কৃতি কেন্দ্রের পরিচালক সুধাংশ ভর্মা ও আরও কিছু মানুষের প্রায় ২০ বছরের প্রচেষ্টাতেই হিন্দু মন্দির তৈরির এই স্বপ্ন সফল হয়েছে। রোহিত শ্রীবাস্তব নামের আর এক আয়ারল্যান্ডবাসী জানালেন, অনেকদিন পর মন্দির দেখে বাড়ি ফেরার মতো শান্তি পাওয়া গেল। ডাবলিনের এক বাসিন্দা রবিনন্দন প্রসাদ সিংয়ের কথায়, "ভারতীয় হিসেবে এই মুহূর্তটা আমাদের কাছে খুবই গর্বের। বাড়ির থেয়ে বহু দূরে শেষমেশ আমরা প্রার্থনা করার জায়গা পেয়েছি এতেই আমরা আনন্দিত।"
তবে শুধুমাত্র ধর্মকর্ম বা মন্দিরই নয়, আরও বেশ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে বৈদিক হিন্দু সংস্কৃতি কেন্দ্রের। সেখানকার ভারতীয়দের জন্য বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করবেন তাঁরা। গোটা আয়ারল্যান্ড জুড়ে বেশ কয়েক হাজার গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করেছে সংগঠনটি। এছাড়াও যারা গৃহহীন তাদের জন্য থাকার বন্দোবস্ত করা হবে। সব গরীবেরা যাতে দুবেলা দু'মুঠো খেতে পায় সেই ব্যবস্থাও করবে এই মন্দির কমিটি। মন্দিরটিতে সমস্ত হিন্দু উৎসবই পালন করা হবে।