রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: গতকাল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে আক্রান্ত হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী। তাঁদের মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে ভরতি। বুধবার হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করলেন শুভেন্দু। সেখান থেকেই নিশানা করলেন শাসকদলকে।
দলবদলের পর পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গার পাশাপাশি একাধিক জেলায় বিজেপির সভা, ব়্যালিতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। প্রতিক্ষেত্রেই তৃণমূল, মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের একাধিক নেতাকে নজিরবিহীনভাবে আক্রমণ করেছেন তিনি। তবে মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক কর্মসূচি ছিল প্রাক্তন মন্ত্রীর। অভিযোগ ওঠে, সেখানে আসার পথে চক্রবেড়িয়ার ভূতামোড়ে আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মীরা। তাঁদের বাস ভাঙচুরের অভিযোগও ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার ১৫ জনকে ভরতি করতে হয় হাসপাতালে। বুধবার প্রথমে নন্দ্রীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে দেখা করেন শুভেন্দুর। খোঁজ নেন তাঁদের শারীরিক অবস্থার। এরপর তমলুক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজেপি কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। স্বাভাবিকভাবেই নেতাকে কাছে পেয়ে মনোবল পেয়েছেন আক্রান্তরা।
[আরও পড়ুন: আদিবাসী গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী, শুনলেন মহিলাদের কথা, বোঝালেন ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির সুবিধা]
এদিনও এই হামলা প্রসঙ্গে শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন শুভেন্দু। বলেন, “প্রত্যেকের নিজের ইচ্ছে মতো রাজনীতি ও ধর্ম পালন করার অধিকার রয়েছে। ধর্মীয়ে অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া যায় না। এখানে প্রতিবাদের কোনও জায়গা নেই। ওদের ক্ষমতা হয়নি আমাকে বাধা দেওয়ার, তাই নিরীহ কর্মীদের উপর হামলা করেছে।” উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাতেই আহতদের দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় মাহাতো।