দীপঙ্কর মণ্ডল: স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা হোক সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সব ফি মকুব করা হোক। একাধিক দাবিতে সোমবার বিক্ষোভে (Agitation)শামিল হলেন ডিএসও-র (DSO) সদস্যরা। আর তাঁদের এই কর্মসূচি ঘিরে সপ্তাহের প্রথম কাজের দিন কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা কলেজ স্ট্রিট। পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধুন্ধুমার বেধে যায়। বড় পোস্টার, ব্যানার নিয়ে কলেজ স্ট্রিট বেশ কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ করে ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। যদিও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তবে তার মধ্যেই ব্যস্ত রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ায় যানজট তৈরি হয়।
সোমবার কলেজ স্ট্রিট (College Street)চত্বরে ডিএসও-র বিক্ষোভ পূর্বঘোষিত। রবিবারই বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছাত্র সংগঠন AIDSO জানিয়েছিল, সোমবার সকাল ১১টা ১২টা পর্যন্ত কলেজ স্ট্রিট মোড় অবরোধ করা হবে। সেক্ষেত্রে পুলিশের ঝামেলা হলেও কর্মসূচি জোর করে চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার দাবিতেই অনড় থাকবেন সদস্যরা, এই বার্তাও ছিল বিজ্ঞপ্তিতে। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে জমায়েত শুরু হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (CU) কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের মেন গেটে। তাদের মূল দাবি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবার সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হোক। করোনা (Coronavirus) কালে ভরতি-সহ যাবতীয় ফি মকুব করা হোক।
[আরও পড়ুন: পূর্ব ভারতে SSKM-এ প্রথম ‘3D Endoscopy’র সাহায্যে অস্ত্রোপচার, নজির গড়লেন চিকিৎসকরা]
সেইমতো এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ জমায়েত শুরু হয় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে। একে একে প্রচুর সদস্য জমায়েত করেন। তাঁদের হাতে পোস্টারে স্পষ্ট লেখা নিজেদের দাবি। করোনা কালে এই জমায়েতে বাধা দেয় পুলিশ। তাতেই পরিস্থিতি ধুন্ধুমার হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতি, সংঘর্ষ হয়। কয়েকজন জখম হন। ডিএসও-র মহিলা সদস্যরাও সংঘর্ষের মধ্যে জড়িয়ে পড়েন। তাঁদের দাবি না মানা হলে, আন্দোলন চালিয়ে যাবেন বলে বারবার সরব হন তাঁরা। এই বিক্ষোভের জেরে কলেজ স্ট্রিট এলাকায় যানচলাচল থমকে যায় বেশ কিছুক্ষণের জন্য। তবে পুলিশের সক্রিয়তায় দ্রুতই পরিস্থিতি আয়ত্তে আসে।