সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের ক্যানসারকে হার মানালেন ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। নিজের লড়াইয়ের প্রতিটা মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। কখনও আবার তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানিয়েছেন অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। এবার দু’জনেই জানালেন যুদ্ধ জয়ের খবর। সেই সঙ্গে কাটলেন কেক। যে কেক ঐন্দ্রিলাকে পাঠিয়েছেন রাজ চক্রবর্তী ও শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়।
কালার্স বাংলার ‘ঝুমুর’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে বাংলা টেলিভিশনের জগতে নিজের অভিনয় সফর শুরু করেন ঐন্দ্রিলা। স্টার জলসার ‘জীবন জ্যোতি’ ধারাবাহিকেও মুখ্য চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। সান বাংলার ‘জিয়ন কাঠি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করেন তুলির ভূমিকায়। বহুদিন ধরেই ক্যানসারের সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। একবার নয় দু-দু’বার মারণ রোগ থাবা বসিয়েছে তাঁর শরীরে। দু’বারই ক্যানসারকে হার মানিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই আনন্দ উদযাপন করলেন কেক কেটে।
[আরও পড়ুন: ২৬/১১-র ধাঁচে নদীপথে জঙ্গি হামলা হতে পারে কলকাতায়! রুখতে গঙ্গায় নতুন জেটি পুলিশের]
“দীর্ঘ লড়াইয়ের অবসান। আজ যে আমি কেমন অনুভব করছি তা বলে বোঝাতে পারব না। হয়তো এই দিনটি দেখতে পেতাম না, যদি আমার পরিবার ও সব্যসাচী পাশে না থাকতো, পাশে থাকা কাকে বলে আমি জেনেছি এই এক বছরে। আমি সত্যি ভাগ্যবতী”, ভিডিও আপলোড করে লেখেন ঐন্দ্রিলা। পাশাপাশি হাসপাতাল ও চিকিৎসকদেরও ধন্যবাদ দিয়েছেন। ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রির সেই সমস্ত মানুষদের, যাঁর কঠিন সময়ে পাশে ছিলেন এবং খোঁজ নিয়েছেন। সবশেষে নিজের অনুরাগীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন অভিনেত্রী।
ডিসেম্বরের শেষ অবধি ঐন্দ্রিলার কেমোথেরাপি চলবে। সেকথা আগেই জানিয়েছিলেন সব্যসাচী। বৃহস্পতিবার ফোনে জানান, পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ঐন্দ্রিলার শরীরে মারণ ভাইরাসের আর কোনও লক্ষণ নেই। তবে এখনও সাবধান থাকতে হবে অভিনেত্রীকে। গতবার, পাঁচ বছরের মাথায় ঐন্দ্রিলাকে ক্যানসারমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন চিকিৎসক। কিন্তু তারপরও মারণ ভাইরাস থাবা বসায়। তাই অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে ঐন্দ্রিলাকে। প্রতি তিন মাস অন্তর পরীক্ষা করাতে হবে তাঁকে। ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই চলতে হবে।
অবশ্য, এই যুদ্ধ জয়ই বা কম কিসে! সোশ্যাল মিডিয়ায় এই লড়াইয়ের নেপথ্যের কারিগরদের নাম শেয়ার করেন সব্যসাচী। এঁরা হলেন,
- ডক্টর সুমন মল্লিক – রেডিওথেরাপি
- ডক্টর অমিতাভ চক্রবর্তী – থোরাসিক সার্জন
- ডক্টর দোদুল মন্ডল – রেডিওথেরাপি (দিল্লি অ্যাপোলো)
- ডক্টর চন্দ্রকান্ত এম ভি – কেমোথেরাপি
- ডক্টর বিবেক আগারওয়াল – কেমোথেরাপি
- ডক্টর নেহা – সার্জন
- ডক্টর তিতিশা মিত্র – এনাস্থেসিওলজিস্ট
- সম্পূর্ণ ডে কেয়ার কেমোথেরাপি টিম
এবং - নার্সিং স্টাফ টিম
প্রথমে দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে ঐন্দ্রিলাকে ভরতি করা হলেও তাঁর সম্পূর্ণ চিকিৎসা হয় কলকাতার নারায়ণা হাসপাতালে। অস্ত্রোপচার হয় নারায়ণার অন্তর্গত আর এন টেগোর হাসপাতালে। আরোগ্যের খোঁজে যাঁরা দিশাহীন, এই তথ্য তাঁদের সাহায্য করতে পারে বলেই জানান বাংলা টেলিভিশনের ‘বামাক্ষ্যাপা’।