সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের হাতে এল প্রথম দুই আসন বিশিষ্ট তেজস বিমান। বুধবার হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড এই অত্যাধুনিক তেজস ট্রেনার বিমানটি তুলে দেয় বায়ুসেনার হাতে। দেশীয় প্রযুক্তিতে বিমান তৈরিতে আরও এক ধাপ এগল দেশ।
এই বিষয়ে হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুই আসন বিশিষ্ট এই অত্যাধুনিক তেজস প্রশিক্ষণ বিমানে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বায়ুসেনার প্রশিক্ষণে সাহায্যের জন্য এটি বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। প্রয়োজনে যুদ্ধ পরিস্থিতিতেও কাজে লাগানো যাবে এই বিমানটিকে। এর আগে ভারতের হাতে ছিল সিঙ্গল সিট তেজস (Tejas) যুদ্ধবিমান। এবার দেশের মাটিতেই তৈরি হল টুইন সিট তেজস।
এদিন এই যুদ্ধবিমান হস্তান্তর করার জন্য বেঙ্গালুরুর হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকসের সদরদপ্তরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অজয় ভাট। বায়ুসেনার হাতে এই তেজস তুলে দেওয়ার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্পে নতুন পালক যুক্ত হল।
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে যোগ যাজকের, ‘শাস্তি’ দিল চার্চ]
উল্লেখ্য, তেজস যুদ্ধবিমানটি বানিয়েছে সামরিক বিমান প্রস্তুতকারী সংস্থা হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকস লিমিটেড (HAL)। ‘লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফট’টি সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মীত। বায়ুসেনার জরাগ্রস্ত মিগ-২১ বিমানগুলির জায়গা নেবে তেজস। ইতিমধ্যেই একাধিক পরীক্ষায় সফলভাবে উতরেছে বিমানটি। ২০২০ সালে প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় রুশ নির্মিত ‘আইএল-৭৮’ জ্বালানিবাহী বিমান থেকে ইন্ধন ভরা হয় তেজসে। স্বল্প সময়েই প্রায় ১৯ হাজার লিটার জ্বালানি পৌঁছে যায় যুদ্ধবিমানটির পেটে। মাঝ আকাশে জ্বালানি ভরে বিশ্বের প্রথম সারির সামরিক শক্তির তালিকায় নাম লেখায় ভারত।
বলে রাখা ভালো, মালয়েশিয়াকে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ‘তেজস’ যুদ্ধবিমান বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। খুব হালকা ওজনের হলেও তেজস যুদ্ধবিমান অত্যন্ত শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র বয়ে নিয়ে যেতে পারে। শত্রুপক্ষের নজরের বাইরে থাকা অবস্থাতেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে। প্রয়োজনে বিপক্ষের যুদ্ধবিমানকেও ধ্বংস করতে পারে।