সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে যুদ্ধের মেঘ। শীর্ষ ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানীর হত্যার রেশ না কাটতেই এবার ‘খুন’ করা হয়েছে ইরানের রেভলিউশনারি গার্ডস-এর এক প্রভাবশালী কমান্ডারকে।
[আরও পড়ুন: করোনা রোগীকে ‘জাদু কি ঝাপ্পি’! একাকীত্বে ভুগতে থাকা বৃদ্ধের কান্না থামালেন চিকিৎসক]
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত শনিবার ইরাক ও সিরিয়া সীমান্তে ড্রোন হানায় মৃত্যু হয় ইরানের (Iran) সেনাবাহিনীর কমান্ডার মুসলিম শাহদানের। ইরাকের প্রতিরক্ষা আধিকারিকদের উদ্ধৃত করে al-Arabiya News জানিয়েছে, ইরাক সীমান্তে সিরিয়ার দের এজ-জর প্রদেশে গাড়িতে দেহরক্ষীদের সঙ্গে সফর করছিলেন মুসলিম। তখনই তাঁদের উপর মিসাইল হামলা চালায় একটি ড্রোন। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলেই কমান্ডার মুসলিম ও তাঁর তিন দেহরক্ষীর মৃত্যু হয়। বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে আমেরিকা ও ইজরায়েল। ড্রোন দিয়ে এমন সঠিকভাবে হামলা চালাতে গেলে যে পরিমাণের ‘ইন্টেলিজেন্স ইনপুট’ বা গোপন খবর ও পরিকাঠামোর প্রয়োজন তা সংগ্রহ করার মতো ক্ষমতা সিআইএ ও মোসাদের রয়েছে। এদিকে, মুসলিমের হত্যা মধ্যপ্রাচ্যে পরিস্থিতি আরও ঘোরাল করে তুলবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, একের পর এক শীর্ষ আধিকারিকদের হত্যা চুপচাপ মেনে নেবে না ইরান।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই তেহরানের রাস্তায় সে দেশের শীর্ষ পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসিন ফাখরিজাদেহকে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে হত্যা করে অজ্ঞাত পরিচয়ের দুষ্কৃতীরা। এরপরই এই ঘটনার পিছনে ইজরায়েলের হাত আছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছে ইরান (Iran)। এমনকী ইজরায়েলকে আমেরিকার ভাড়াটে সৈন্য বলে কটাক্ষ করে চরম প্রতিশোধ নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে। তারপরই কমান্ডার মুসলিম শাহদানের হত্যা আগুনে ঘি ধলার কাজ করেছে। প্রসঙ্গত, গত জানুয়ারি মাসে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তা কাশেম সোলেমানি-সহ আটজনকে খতম করে আমেরিকা। সেবারেও ড্রোনের মদতে হামলা চালানো হয়েছিল।