সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে বহাল রইলেন অজিত ডোভাল। তৃতীয়বারের জন্য তাঁকেই ওই পদে নিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে মোদির মন্ত্রিসভা। ১০ জুন থেকেই তাঁর নিয়োগ কার্যকর হিসেবে গণ্য হবে। দীর্ঘ সাঁইত্রিশ বছর পুলিশ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীতে কাটিয়ে ‘ভারতের জেমস বন্ড’ হয়ে ওঠা ডোভাল ২০১৪ সাল থেকেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে রয়েছেন।
কেরিয়ারের ৭টি বছর কেটেছিল উর্দিতে। বাকি তিরিশটা বছর ধরে আন্ডার কভার এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন ইন্টেলিজেন্ট ব্যুরোর হয়ে। তাঁর সাফল্যের খতিয়ান হয়ে রয়ে গিয়েছে চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো সব ঘটনা। কখনও ভিখারি সেজে পাকিস্তানের রাজপথে বসে থাকা, কখনও খলিস্তানিদের ভিড়ে রিকশা চালক হয়ে ঢুকে পড়া, শত্রুপক্ষের ডেরায় ঢুকে স্রেফ কথার খেলায় তাদের মধ্যে ভাঙন ধরিয়ে দেওয়া… মনে হতেই পারে কোনও সিনেমা কিংবা ওয়েব সিরিজের দুর্দান্ত থ্রিলিং স্ক্রিপ্ট! ২০০৫ সালে অবসর নেন তিনি। এর পর ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ডোভালকেই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। সেই থেকে তিনি ওই পদেই রয়েছেন তিনি। এবার তৃতীয় দফায় তাঁর নিয়োগে দেওয়া হল সবুজ সংকেত।
[আরও পড়ুন: জেলে ফের অসুস্থ পার্থ! ফুলছে পা, SSKM-কে চিঠি প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের]
১৯৪৫ সালে উত্তরাখণ্ডে জন্ম ডোভালের (Ajit Doval)। বাবা সেনা অফিসার মেজর গুণানন্দ ডোভাল। ছোটবেলা থেকেই মেধাবী পড়ুয়া ছিলেন। ২২ বছরেই অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডোভাল প্রথমবার ইউপিএসসিতে বসেই উত্তীর্ণ হন। সুযোগ পান ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসে। সেটা ১৯৬৮ সাল। আইবিতে থাকাকালীন প্রথম কিছুদিন সাধারণ অফিস ওয়ার্ক করতে হয়েছিল ডোভালকে। কিন্তু ক্রমেই আন্ডার কভার এজেন্ট হিসেবে একের পর এক সাফল্য তাঁকে করে তোলে সুপার স্পাই। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবেও তাঁর নানা কীর্তির কথা অনেকেরই জানা। বিশেষ করে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মতো বহুচর্চিত বিষয়। যা নিয়ে ছবিও হয়েছে। এদিকে তৃতীয়বার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পাওয়া ডোভালের সঙ্গে বৃহস্পতিবারই বৈঠক করেছেন মোদি। গত চার দিনে চারটি জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে কাশ্মীরের বিস্তীর্ণ এলাকা। এই বিষয়েই প্রধানমন্ত্রী শাহ ও ডোভালের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।