সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিবারে যারা ভাঙন ধরায়, তাদের ক্ষমা করে না জনতা। মহারাষ্ট্রে একটি জনসভায় নিজের ভুল স্বীকার করে এই কথা বলতে শোনা গেল অজিত পওয়ারকে। জনসভায় এনসিপি নেতার মুখে এই কথা শোনার পর থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা, তাহলে কি শরদ পওয়ারের সঙ্গে মান অভিমান মিটিয়ে ঘর ওয়াপসি করছেন অজিত? উল্লেখ্য, দিনকয়েক আগেই শরদ শিবিরের দাবি ছিল, এনডিএ থেকে অজিতের এনসিপিকে তাড়ানোর জন্য সচেষ্ট বিজেপি। তার মধ্যেই ইঙ্গিতবাহী মন্তব্য অজিতের।
চলতি বছরেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আসন সমঝোতা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপির সঙ্গে মতবিরোধ হচ্ছে অজিতের। এহেন পরিস্থিতিতে গাডচিরোলিতে একটি জনসভায় যান মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, গাডচিরোলির আহেরি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে ইতিমধ্যেই ভাঙন ধরেছে এনসিপির অন্দরে। সেখান থেকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী ধর্মারাওবাবা আতরামকে টিকিট দিতে চায় অজিতের দল। কিন্তু ওই কেন্দ্র থেকেই অন্য দলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন আতরামের কন্যা ভাগ্যশ্রী, এমনটাই সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: পর পর কন্যাসন্তান, দুধে বিষ মিশিয়ে ৯ মাসের শিশুকে খুন! দেহ পুঁতে রাখলেন বাবা-মা]
গৃহযুদ্ধের এই আবহেই গাডচিরোলির জনসভায় গিয়ে অজিত পওয়ার বলেন, "দয়া করে পরিবার ভাঙবেন না। যারা পরিবারে ভাঙন ধরায়, মানুষ তাদের মোটেই পছন্দ করেন না। আমার নিজেরই এই অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি মনে করি, আমারই ভুল ছিল। সেটা স্বীকারও করছি।" অজিতের এহেন মন্তব্যের পরেই জল্পনা বাড়ছে মারাঠা রাজনীতিতে। তাহলে কি ফের এক হয়ে যাবেন কাকা-ভাইপো? ঘরোয়া ফাটল মুছে ঐক্যবদ্ধ হবে এনসিপি?
সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দিচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল। কারণ দিনকয়েক আগেই অজিত পাওয়ার স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁর দল আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ৬০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়। তবে এতগুলো আসন ছাড়তে চায় না বিজেপি। তার মধ্যেই এনসিপির শরদ শিবিরের মুখপাত্র ক্লাইড ক্রেস্টো বলেন, অজিতের সঙ্গে জোট করে ভুল হয়েছিল সেটা বুঝেছে বিজেপি। তাই এনডিএ থেকে অজিতকে ছেঁটে ফেলতে চায় গেরুয়া শিবির। সেটা আঁচ করতে পেরেই কি পরিবারে ভাঙন রোখার বার্তা অজিতের?