স্টাফ রিপোর্টার: ওয়াশিংটন সুন্দরকে যে ডেলিভারিতে বোল্ড করলেন আকাশ দীপ, সেটা দেখার পর জশপ্রীত বুমরাহ কিংবা মহম্মদ শামিও নিশ্চয়ই প্রবল তৃপ্ত হয়েছেন। প্রায় মাসখানেক ধরেই বেঙ্গালুরুতে রয়েছেন বঙ্গ পেসার। জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং চলছিল। আর তারই মাঝে বেশ কয়েকবার মহম্মদ শামির সঙ্গে বসে পড়েছিলেন আকাশ। টিপস নেওয়ার পাশাপাশি নিজেকে কীভাবে আরও নিঁখুত করতে হবে, সেটাও জেনে নিয়েছিলেন। ওয়াশিংটনকে এদিন যেভাবে আউট করেন, তার নেপথ্যে শামির পরামর্শও রয়েছে। দলীপে দ্বিতীয় ইনিংসে দুরন্ত স্পেল উপহার দেওয়ার পর আকাশ সেটা স্বীকারও করে নেন।
ভারতীয় ক্রিকেটমহলে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেল, জাতীয় নির্বাচকরাও আকাশের বোলিংয়ে রীতিমতো মুগ্ধ। আগামী তিন-চার মাসে দশটা টেস্ট রয়েছে ভারতের। সব সিরিজের দলেই যে আকাশকে রাখা হবে, সেটা মোটামুটি নিশ্চিত। অস্ট্রেলিয়া সফরেও ভারতীয় বোলিংয়ের অন্যতম ভরসা হতে পারেন এই বঙ্গ পেসার, এমনটাই মনে করেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই।
[আরও পড়ুন: সাহস জোগাচ্ছে পাকিস্তান সিরিজের সাফল্য, ভারতকেও টেস্টে হারানোর স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ]
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টেই নজরকাড়া পারফরম্যান্স করেছিলেন। দলীপে প্রথম ম্যাচের পারফরম্যান্স ভারতীয় টিমে তাঁর জায়গা আরও অনেকটা শক্ত করল, সেটা বলে দেওয়াই যায়। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরু। আকাশ বলছিলেন, ‘‘গত মার্চে আমি টেস্ট খেলেছিলাম। আইপিএলে শুধু একটা ম্যাচ খেলি। একজন পেসারের কাছে এত লম্বা সময় পর কামব্যাকের কাজটা খুব সহজ নয়। আমি গত এক মাস ধরে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ছিলাম। বেশ কয়েকটা প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছি। কঠিন পরিস্থিতির সামনে পড়তে হবে, সেটা জানতাম। সেই অনুযায়ী নিজেকে তৈরি করেছি।’’
তবে এখনই খুব বেশি ভাবতে চান না। বরং প্রত্যেকটা ম্যাচকে নিজের শেষ ম্যাচে ভেবেই খেলতে নামেন আকাশ। এক ওয়েবসাইটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই বঙ্গ পেসার বলেন, ‘‘দেখুন প্রত্যেকটা ম্যাচকেই আমি শেষ ম্যাচ ভেবেই খেলতে নামি। ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি কিছু ভাবতে চাই না। নির্বাচনের ব্যাপারটা আমার হাতে নেই। তাই ওসব নিয়ে ভেবে কী করব। আমি বর্তমান নিয়ে থাকতে চাই। এদিন ম্যাচ শেষ হল। কালকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কীভাবে আবার রিকভারি করব, সেটি নিয়েই ভাবছি।’’