সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ মিসাইলের উৎক্ষেপণ সাফল্যের মুখ দেখতেই নয়া ইতিহাস তৈরি করে ফেলল ভারত। এখন থেকে ভূমি থেকে আকাশে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে সক্ষম ভারত। মঙ্গলবার দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত ‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সিকার’-সহ সুপারসনিক সারফেস টু এয়ার (এসএএম) সাফল্যের সঙ্গে ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। পরীক্ষাটি করা হয় কমপ্লেক্স থ্রি-তে। একটি উড়ন্ত মানববিহীন যান বা ইউএভিকে সাফল্যের সঙ্গে ধ্বংস করে আকাশ মিসাইল।
[আকাশে অপ্রতিরোধ্য হবে ব্রহ্মস ও সুখোইয়ের যুগলবন্দি]
মিসাইলটি যারা বানিয়েছে, সেই ডিআরডিও জানিয়েছে, সেনাবাহিনীতে আকাশ মিসাইলকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মূলত স্বল্প থেকে মাঝারি পাল্লার ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণের জন্য। পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ সফল হতেই ভারত এখন ইতিহাসের দোরগোড়ায়। ভারত এখন থেকে যে কোনও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বানাতে সক্ষম, জানিয়েছে ডিআরডিও। কেন্দ্রীয় সংস্থাটির আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এক একটি দেশীয় ‘রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি সিকার’ তৈরিতে খরচ পড়ে প্রায় ৭০ লক্ষ মার্কিন ডলার। এই প্রযুক্তিটি আকাশকে আরও দূরপাল্লার ও হামলায় নিখুঁত করার লক্ষ্যে ব্যবহৃত হয়েছে।
[চিনকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভিয়েতনামকে ‘আকাশ’ মিসাইল দিচ্ছেন মোদি]
৫.৮ মিটার লম্বা আকাশ মিসাইলের পাল্লা প্রায় ২৫ কিলোমিটার। ঘন্টায় ৩০৮৭ কিলোমিটার গতিবেগে ছোটে। সহজে বললে শব্দের চেয়ে আড়াই গুণ জোরে। একসঙ্গে একাধিক টার্গেটকে ধুলোয় পরিণত করতে আকাশের কয়েক সেকেন্ড সময় লাগবে। একসঙ্গে শত্রুপক্ষের চারটি যুদ্ধবিমান, ড্রোন বা মিসাইলকে মাঝআকাশেই ধ্বংস করে দিতে পারে ভারতের এই ক্ষেপণাস্ত্র। ৫৫ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক বুকে করে বয়ে নিয়ে গিয়ে শত্রুর শিবিরে আছড়ে ফেলতে পারে আকাশ মিসাইল। মিসাইলটির ওজন ৭২০ কিলোগ্রাম। যে কোনও আবহাওয়াতে সমান উপযোগী এই ক্ষেপণাস্ত্রটি।
[চোখ ধাঁধানো ‘ব্রহ্মস’ মিসাইলের এই গোপন তথ্যগুলি জানেন কি?]
দেখুন ভিডিও:
The post সাফল্যের উড়ান আকাশ মিসাইলের, ইতিহাসের মুখোমুখি DRDO appeared first on Sangbad Pratidin.