অর্ণব আইচ: সোশ্যাল মিডিয়ায় মগজধোলাই তরুণ ও যুবকদের। আল কায়দার হয়ে টানা প্রচার চালিয়েছিল জঙ্গি সন্দেহে ধৃত কলেজছাত্র মনিরুদ্দিন ওরফে মনউদ্দিন। এমনই অভিযোগ কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের। তাই তদন্তের খাতিরে এবার ফেসবুকের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করছে এসটিএফ। তার জন্য এসটিএফ দ্বারস্থ হয়েছে আদালতের।
কিছুদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর থেকে এসটিএফের হাতে গ্রেপ্তার হয় ওই কলেজছাত্র। সে জঙ্গি সংগঠন ভারতীয় আল কায়দা বা আকিস তথা বাংলাদেশের আনসারুল বাংলা টিমের সদস্য বলেই অভিযোগ। ওই এলাকারই এক শিক্ষক আজিজুলকে গ্রেপ্তার করেই তার সন্ধান পান গোয়েন্দারা। ছাত্র মনিরুদ্দিনের বিরুদ্ধে জাল নথিপত্র তৈরি, স্লিপার সেল তৈরির ছকের অভিযোগ ওঠে। এর আগেও এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিল ভারতীয় আল কায়দার আরও কয়েকজন সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফের হাওড়া স্টেশনে শৌচালয় ব্যবহারে টাকা নেওয়ার অভিযোগ, এবার ক্ষুব্ধ চিত্রশিল্পী]
এসটিএফের দাবি, তদন্তে দেখা গিয়েছে, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্য নিয়ে মগজধোলাই করেছে মনিরুদ্দিনও। তার মোবাইল ঘেঁটে এই ব্যাপারে এসটিএফ বেশ কিছু তথ্যও পেয়েছে। তারই সূত্র ধরে এসটিএফের গোয়েন্দারা জানতে পারেন যে, ফেসবুকে বিভিন্ন যুবক ও তরুণের সঙ্গে বন্ধুত্ব করত সে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের সঙ্গে চ্যাট হত মনিরুদ্দিনের। এসটিএফের অভিযোগ, ওই চ্যাটের মাধ্যমেই চলত আল কায়দার (Al Qaeda) মগজধোলাইয়ের কাজ। মেসেঞ্জারেও বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক ছবি ও ভিডিও পাঠানো হত বলে অভিযোগ। কিন্তু পরে বেশিরভাগ চ্যাট ও তথ্য সে ফেসবুক থেকে মুছে দেয়।
গোয়েন্দাদের মতে, তদন্তের জন্যই ওই চ্যাট তাঁদের প্রয়োজন। সেই কারণেই এবার ফেসবুকের কাছ থেকে সেই তথ্যগুলি এসটিএফ পেতে চায়। তার জন্য এসটিএফ আদালতের শরণাপন্ন হয়েছে। ব্যাঙ্কশাল আদালতের কাছে এসটিএফের পক্ষে আবেদন করা হয়েছে, যেন আদালত ফেসবুককে নির্দেশ দেন, এসটিএফের হাতে তথ্য তুলে দিতে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, আদালত নির্দেশ দিলে ফেসবুকের ভারতের নোডাল অফিসারের মাধ্যমে সেই চ্যাট বা তথ্যগুলি সংগ্রহ করা হবে সার্ভার থেকে। তারই মাধ্যমে প্রয়োজনে পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে জেলে গিয়েও অভিযুক্তদের জেরা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।