সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যৌন নিগ্রহ এবং ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগের (False Rape Case) সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তা দমনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। মঙ্গলবার এমনই মন্তব্য করেছে দিল্লি হাই কোর্ট (Delhi High Court)। এক অভিযোগকারী অভিযুক্তের সঙ্গে সহমতের ভিত্তিতে ধর্ষণের মামলা প্রত্যাহার করতে চেয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন খারিজ করে দিল্লি হাই কোর্ট এই মন্তব্য করেছে।
বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ (Subramanian Prasad) বলেন, “অসৎ উদ্দেশে এই ধরনের মামলা দায়ের হয়। এই আশায় করা হয় যে, অন্য পক্ষ ভয় বা লজ্জার কারণে তাদের দাবি মেনে নেবে। অন্যায়কারীদের তাদের কাজের পরিণতি না বোঝালে, এই ধরনের ফালতু মামলা রোধ করা কঠিন হবে। অভিযুক্তকে কড়া সাজা না দিলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।” দিল্লির আমন বিহার থানায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ ধারায় একটা মামলা রুজু হয়েছিল। সেই মামলা খারিজের আবেদন করে দিল্লি হাই কোর্টে আবেদন জমা পড়েছে। তা খারিজ করে বিচারপতি এই মন্তব্য করেছেন।
[আরও পড়ুন: TMC in Tripura: থানায় অভিষেকদের অবস্থান বিক্ষোভের মামলায় ভিডিও রেকর্ড চাইল আদালত]
বিচারপতির মন্তব্য, “ধর্ষণ শুধু শারীরিক নিগ্রহ নয়। একজন ব্যক্তিকে ধ্বংস করে ধর্ষণ। এক মহিলাকে মানসিকভাবে বিধস্ত করে দেয় ধর্ষণের ঘটনা। অনেক সময় গোটা জীবন সেই ক্ষত বয়ে বেড়াতে হয়।” তার পরেও ধর্ষণের মতো অভিযোগকে মানুষ লঘু চোখে দেখে। মামলা প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে হাই কোর্ট বলেছে, “ধর্ষণের মতো গুরুতর এই অভিযোগ খারিজ করলে অভিযুক্তদের মনোবল বাড়বে। পরবর্তী সময়ে নিগ্রহের শিকার মহিলাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে পার পেয়ে যাবে ধর্ষণে অভিযুক্তরা। এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধের ক্ষেত্রে যা কোনও মতেই মেনে নেওয়া যায় না।”
[আরও পড়ুন: Sunanda Pushkar Death: সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলায় বেকসুর খালাস কংগ্রেস নেতা শশী থারুর]
ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ কোনও ব্যক্তির জীবন-জীবিকা ধ্বংস করে দিতে পারে। তাঁর সম্মান নষ্ট হয়। সারা জীবন নিজের পরিবারের মুখোমুখি হতে পারেন না। যন্ত্রণা বয়ে বেড়াতে হয়। শুধু ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটানোর জন্য এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ আনা উচিত নয় বলেও আদালত মন্তব্য করেছে।