রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: কলেজ চত্বরে খাবারের হোটেল। সেই দোকানগুলিতে বিক্রি হচ্ছে বেআইনি মদ! দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন কলেজ পড়ুয়ারা। নষ্ট হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশেই অসামাজিক কাজের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। পুলিশে অভিযোগ জানিয়ে লাভ হয়নি বলে দাবি তাঁদের। এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, যারা এই অবৈধ মদ ব্যবসার সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নদিয়ার (Nadia) তেহট্টের বেতাই বাজার এলাকায় ডঃ বি আর আম্বেদকর কলেজ (Dr. B.R. Ambedkar College)। কলেজের সামনে কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়ক। রাস্তার দুপাশে গজিয়ে উঠেছে খাবার হোটেল। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে বেশ কয়েকটি হোটেলে চলছে মদের কারবার। গভীর রাত পর্যন্ত সেই দোকানগুলি খোলা থাকে বলেও অভিযোগ। বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ কখনও কখনও নিয়ম রক্ষার কাজ করে দায় সারে।
[আরও পড়ুন: সোনারপুরে ‘জমি হাঙর’ জামালের তাক লাগানো প্রাসাদ, বাড়িতেই আদালত!]
তাঁদের আরও অভিযোগ, এই অবৈধ মদের ব্যবসা মহিলারা সামলাচ্ছেন। যে কারণে দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন কলেজ ছাত্রীরাও। মদ বিক্রেতা এবং মদ্যপদের অত্যাচারে বাড়িতে টেকা দায়। এই অভিযোগ তুলে সোমবার সন্ধ্যায় এলাকার মহিলারা একজোট হয়ে প্রতিবাদ করেন। খবর যায় তেহট্ট থানায়। মদ বিক্রেতারা হোটেল ঘর বন্ধ করে গা ঢাকা দেয়। হোটেলের তালা ভেঙে বেশকিছু মদের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ। এলাকার মানুষের দাবি, এই অবৈধ ব্যবসা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে।
আন্দোলনকারী মহিলা রেণুকা মল্লিক, মীরা গোস্বামীরা জানান, লোকালয়ে কয়েকজন হোটেল ব্যবসায়ী অবৈধভাবে মদ বিক্রি করছে। ফলে কলেজের কিছু ছাত্রাছাত্রী মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। কলেজের মেয়েরা ভাত খাবার বাহানায় মহিলা পরিচালিত হোটেল ঢুকে মদ্যপান করছে। তাই এলাকার সুস্থ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনে নেমেছি। যেভাবেই হোক এই অবৈধ মদের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে।
বেতাই ডঃ বি আর আম্বেদকর কলেজের অধ্যক্ষ পীযূষকান্তি দেব জানান, কলেজের পক্ষে থেকে অবৈধ মত বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে কলেজ চত্বরে ২০০ মিটারের মধ্যে এই অবৈধ মদের ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। এছাড়াও কলেজে সুস্থ পঠন-পাঠনের লক্ষে নিয়ে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বেতাই বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক পার্থ বিশ্বাস জানান, বাজার কমিটির পক্ষ থেকে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অবৈধভাবে মদ বিক্রি বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ পেয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যারা এই অবৈধ মদ ব্যবসার সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।