সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার বিরোধী নেতা অ্যালেক্সেই নাভালনির বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদে উসকানি’ দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত করতে চলেছে মস্কো। গত এপ্রিল মাসে একটি রুশ রেডিও স্টেশনে করোনা সংক্রান্ত মন্তব্য করেছিলেন ক্রেমলিনের প্রবল সমালোচক নাভালনি। সেই বক্তব্যকেই হাতিয়ার করতে চলেছে মস্কো বলে সূত্রের খবর।
[আরও পড়ুন: মাফিয়া থেকে ইয়াকুজা, সংগঠিত অপরাধীদের নিশানায় করোনা ভ্যাকসিন!]
‘দ্য মস্কো টাইমস’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এপ্রিল মাসের ২৭ তারিখ ‘Ekho Moskvy’ নামের একটি রেডিও চ্যানেলে বক্তব্য রাখেন নাভালনি। সেখানে তিনি বলেন, “আমাকে অখুশি রাখতে সরকার যদি ৬ কোটি মানুষকে ক্ষুধার্ত রাখে, তাহলে এমন সরকারকে ছুঁড়ে ফেলা ভাল। আর তা করতে গেলে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করাও যুক্তিযুক্ত।” এদিকে, এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন নাভালনি। নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, “নিজের বাঙ্কারে বসে পুতিন মনেপ্রাণে চাইছেন আমি যাতে দেশে না ফিরি। এবার তিনি আমার বিরুদ্ধে অপরাধিক মামলা করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে আমাকে জেলে পুরার চেষ্টা করছেন।”
এদিকে, সংবাদ সংস্থা ইন্টারফ্যাকস সূত্রে খবর, শুধুমাত্র মন্তব্যের জেরে নাভালনির বিরুদ্ধে মামলা দাঁড় করানো সম্ভব নয়। ফেল এখনই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রবল সমালোচক নাভালনির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করবে না কর্তৃপক্ষ। উল্লেখ্য, আগস্টের ২০ তারিখ সাইবেরিয়ার টমস্ক থেকে বিমানে মস্কো ফিরছিলেন নাভালনি ( Alexei Navalny)। মাঝ আকাশে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। উপায় না দেখে ওমস্ক শহরে বিমানের জরুরি অবতরণ করিয়ে শুরু হয় চিকিৎসা। নাভালনি ঘনিষ্ঠদের প্রাথমিক ধারণা, টমস্ক বিমানবন্দরে তাঁর চায়ে বিষ মেশানো হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, নাভালনির স্নায়ুতন্ত্র ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ছিল। কোমায় আচ্ছন্ন হন তিনি। সেটা বিষের প্রভাবে বলেই ধারণা করা হচ্ছিল। এরপর নাভালনির শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হতে থাকায় জার্মানির বার্লিনে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষানিরীক্ষার পর বিষ প্রয়োগের ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন। তারপর সুইডেন ও ফ্রান্সের গবেষণাগারও সাফ জানায়, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কট্টর বিরোধী নাভালনির উপর সোভিয়েত জমানার ভয়াবহ নার্ভ এজেন্ট নভিচক প্রয়োগ করা হয়েছিল।