কৃশানু মজুমদার: অগ্নিগর্ভ ইরান। মাহসা আমিনির খুনের পর থেকেই আগুন জ্বলছে ইরানে। ‘নীতি পুলিশে’র বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন তরুণীরা। হিজাব পুড়িয়ে, চুল কেটে ইসলামের নামে মহিলাদের শিকলবন্দি করার প্রতিবাদ করছেন তাঁরা। প্রতিবাদে শামিল হয়েছেন পুরুষরাও। আজ ইরানের রাজপথে নেমেছেন মহিলারা। সব মিলিয়ে ইরান গর্জে উঠেছে। প্রতিবাদীদের সমর্থন করার জন্য ইরানের প্রাক্তন অধিনায়ক আলি দাইকে গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে খবর। প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ আলি করিমির বাড়িও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের থামানোর জন্য ইরান সরকারের দমনমূলক প্রচেষ্টার সমালোচনা করে ইনস্টাগ্রাম পোস্ট করেছিলেন আলি দাই। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ইনস্টাগ্রামে আলি দাই ইরান সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে লিখেছিলেন, ”ইরানের সাধারণ মানুষের উপরে দমন, নির্যাতন ও গ্রেপ্তার চালানোর পরিবর্তে তাঁদের সমস্যার সমাধান করুন।”
[আরও পড়ুন: ‘নারীমুক্তির দাবিতে পথে ইরান’, দেশের অবস্থা তুলে ধরলেন কলকাতায় খেলে যাওয়া মজিদের বন্ধু]
উল্লেখ্য ১৯৯৩ সালে আন্তর্জাতিক ফুটবল দেখে আলি দাইর উত্থান। ২০০৬ বিশ্বকাপই ছিল আলি দাইর শেষ বিশ্বকাপ। ১৩ বছরের ফুটবল জীবনে ১৪৯ ম্যাচে ১০৯ গোল করেন তিনি। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো টপকে যান আলি দাইকে। তাঁর আগে সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক গোলের রেকর্ড ছিল দাইর। বুন্দেশলিগায় আর্মিনিয়া বেইলেফেল্ড, বায়ার্ন মিউনিখ এবং হার্থা বার্লিনের হয়ে খেলেছিলেন ইরানি কিংবদন্তি। পাসপোর্ট আগেই তাঁর বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এবার আলি দাইকে গৃহবন্দি করা হল। আলি দাইর সঙ্গে সঙ্গে আলি করিমির বাড়িও বাজেয়াপ্ত করেছে ইরান সরকার।
এদিকে দেশজুড়ে প্রবল বিক্ষোভ, আন্দোলনের পরেও থামছে না ইরান সরকার। বিক্ষোভকারীদের থামানোর জন্য আরও কড়া হচ্ছে সে দেশের সরকার। খবরের ভিতরের খবর বলছে, বিক্ষোভকারীদের থামানোর জন্য ইরাক থেকে মিলিশিয়া আনছে। অন্যদিকে লেবানন থেকে আনা হচ্ছে হেজবোল্লা। সব মিলিয়ে ইরান শান্ত হচ্ছে না এখনই, এ কথা বলে দেওয়াই যায়।