সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, চড় মারার হুমকি এবং আত্মপক্ষ সমর্থনে জোর গলায় দাবি। শিক্ষাঙ্গনে প্রায় নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়ে শেষমেশ পুলিশের হাতে ধরা পড়ল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University) তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (TMCP) প্রাক্তন ইউনিট সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল। টেকনো সিটি থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে খবর। গিয়াসউদ্দিনের ঘটনার উল্লেখ করে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
তাঁর হৃদয় ব্যথিত বলে উল্লেখ করেছেন। যদিও গিয়াসুদ্দিনের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই বলে দাবি টিএমসিপির রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল (Viral Video) হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে উপাচার্যের ঘরে ঢুকে তাণ্ডব চালাচ্ছে কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র। সেখানে উপাচার্যকে চড় মারার হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিতে দেখা যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে। কিন্তু কী নিয়ে সমস্যার সূত্রপাত, তা স্পষ্ট নয়। যদিও ভিডিওর সত্যতা ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালে’র পক্ষ থেকে যাচাই করা হয়নি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা শুরু হয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: ইমরানের সুপারিশে সায় রাষ্ট্রপতির, সংসদ ভেঙে দ্রুত নির্বাচনের পথে পাকিস্তান]
সমালোচনার মুখে পড়ে অবশ্য নিজের অবস্থান থেকে এতটুকুও সরেনি গিয়াসউদ্দিন। তার পালটা দাবি ছিল, বিক্ষোভের মাঝে উপাচার্যের সঙ্গে যে আচরণ করা হয়েছে, তা যথাযথ। তার জন্য একটুও অনুতপ্ত নয় সে। তবে উপাচার্যকে হেনস্তার মতো গুরুতর ঘটনায় তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক স্তরে পদক্ষেপ গ্রহণ করা শুরু হয়েছিল। শেষমেশ ঘটনার ২ দিন পর টেকনো সিটি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে গিয়াসউদ্দিনকে। তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) জানান, ”ও বহুদিন আগে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্য ছিল। কিন্তু নিয়মশৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে আগেই দল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।” জানা গিয়েছে, তার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ ছিল। গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে আরও কতটা কড়া ব্যবস্থা নেয় পুলিশ প্রশাসন, সেটাই এখন দেখার।