গোবিন্দ রায়: গণধর্ষণের (Gangrape) অভিযোগ। টানা ছ’বছর চলল বিচারপর্ব। রায় ঘোষণা হতেই দেখা গেল উলট পুরাণ। বেকসুর খালাস পেল দুই অভিযুক্ত। আর জেলে গেলেন খোদ অভিযোগকারিণী। এমনকী, মোটা অঙ্কের জরিমানাও দিতে হবে তাকে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত।
এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগে ‘পকসো’ (POCSO) আইনে মামলা দায়ের হয়েছিল দুই যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনার ৬ বছর ধরে চলে বিচারপর্ব। সাক্ষ্যপ্রমাণে একাধিক অসঙ্গতি উঠে আসায় দুই যুবককে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে মিথ্যে অভিযোগের দায়ের করায় অভিযোগকারিণী তথা নাবালিকার মাকে তিন মাসের হাজতবাসের নির্দেশ দিলেন আলিপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক। জরিমানা হিসেবে দিতে হবে ৫০ হাজার টাকা। অনাদায়ে আরও এক মাস কারাদণ্ডের নির্দেশও দিয়েছে আদালত। এছাড়াও, ওই নিগৃহীতাকে দেওয়া দু’লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণও অবিলম্বে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
[আরও পড়ুন: বড়দিন ও বর্ষবরণে শিথিল রাজ্যের কোভিডবিধি, ৯ দিন থাকছে না রাত্রিকালীন নিষেধাজ্ঞা]
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে বারুইপুর থানায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। দু’জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ওই নাবালিকার মা। এক সপ্তাহের মধ্যে একজন ধরা পড়েন, অপরজন বেশ কিছুদিন পর গ্রেপ্তার হযন। বিচারপ্রক্রিয়া চলাকালীন এক অভিযুক্ত জামিনে মুক্তিও পেয়ে যান। কিন্তু ছ’বছর জেল হেফাজতে রয়েছে মূল অভিযুক্ত।
দীর্ঘ ৬ বছর ধরে দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব, একাধিক প্রমাণ পেশ এবং সাক্ষ্যগ্রহণ চলে আদালতে। অবশেষে বুধবার মামলাটি মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়। ওই নাবালিকার মায়ের অভিযোগ, নাবালিকার গোপন জবানবন্দি ও সাক্ষ্যর মধ্যেও ছিল বিস্তর পার্থক্য। এরপরই এদিন মামলার রায়ে অভিযুক্ত দু’জনকেই বেকসুর খালাস করে আলিপুর আদালত। উলটে অভিযোগকারিণীকেই জেলে ভরলেন বিচারক।