সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের আর খুব বেশি দেরি নেই। ওয়াকিবহাল মহলের অনুমান, আগামী সপ্তাহেই ঘোষণা হতে পারে লোকসভা (2024 Lok Sabha Election) ভোটের নির্ঘণ্ট। এই আবহে রাজ্যে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের( National Election Commission) ফুল বেঞ্চ। সোমবার রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে তাঁদের। তার আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সদস্যদের সঙ্গে হল সর্বদল বৈঠক। সেখানে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের( TMC) তিন সদস্যের দল। দলে ছিলেন সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। বৈঠকে রাজ্যে এত আগে কেন কেন্দ্রীয় বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। এছাড়াও বাংলায় এক দফায় ভোট ও অযথা তদন্তকারী সংস্থাগুলোর ‘দাপাদাপি’ নিয়েও সরব হয়েছেন কল্যাণরা। পাশাপাশি বিজেপিও সন্দেশখালির বিষয়ে অভিযোগ-সহ ও অন্যান্য দাবি জানিয়েছে। তাদের মুখ্য দাবি, মানুষের মনের ভয় দূর করতে হবে।
[আরও পড়ুন: পাচারকারী সন্দেহে বিএসএফের মার! যুবককে মৃত্যুতে শোরগোল হিলিতে]
এ বারের লোকসভা ভোটের জন্য় রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যায় ৯২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে নির্বাচন কমিশন। ভোট ঘোষণা না হলেও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় টহল দিতে শুরু করেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। এনিয়ে আপত্তি তুলেই সর্বদল বৈঠকে সরব হল তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। কমিশনের ফুল বেঞ্চের কাছে প্রশ্ন, কেন ভোটের এত আগে রাজ্যে কেন্দ্র বাহিনী এসেছে?
[আরও পড়ুন: ২ ফোঁটার বদলে গোটা শিশি পোলিও দিলেন ICDS কর্মী! হাসপাতালে শিশু]
এছাড়া সুব্রত বক্সিরা রাজ্যে এক দফায় ভোটের দাবি তুলেছেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে বিজেপির চাপে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার পাশাশি বহুতল ভবনে ভোট করানো, শুভেন্দু অধিকারীর উপর বিশেষ নজর ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলো
যেন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা না দেয় তা দেখার দাবিও রেখেছে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৈঠক থেকে বেরিয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা অবাধ নির্বাচন করানোর জন্য আবেদন জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশন যা ব্যবস্থা নেবে, তা মানতে আমরা প্রস্তুত। তবে যেন বিজেপি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ন্ত্রিত না করে সেই দিক দেখতে হবে।”
পাশাপাশি বৈঠক থেকে বিজেপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল জানায়, মানুষকে ভয়মুক্ত করে ভোটকেন্দ্র পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে। দলের সদস্য জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ” ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে যাঁরা পর্যবেক্ষকদের বিশেষ করে যাঁরা পুলিশ পর্যবেক্ষক হবেন, তাঁরা আসার কথা জানিয়েছি আমরা। বার বার রাজ্য জুড়ে পরিদর্শন করতে হবে তাঁদের।”