সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের পর থেকেই বারবার জোরালো হয়েছে ইভিএম দুর্নীতির অভিযোগ। সবার প্রথমে এই অভিযোগ তোলেন বিএসপি নেত্রী মায়াবতী। পরে সুর মেলায় সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং কংগ্রেসও। বিরোধীদের অভিযোগ ইভিএমে কারচুপি করে ভোটে জিতছে বিজেপি। যদিও নির্বাচন কমিশন একাধিকবার ইভিএম কারচুপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এমনকি ইভিএম হ্যাকের তথ্য ভুল প্রমাণ করার জন্য বিরোধীদের উদ্দেশ্যে অপেন চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু ইভিএম হ্যাকিং সম্ভব তা প্রমাণ করার জন্য কোনও দলই আসরে নামেনি।
[মুসলিম গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়া, গণপিটুনিতে মৃত্যু দলিত যুবকের]
কমিশনের চ্যালেঞ্জ না নিলেও বিরোধীরা প্রশ্ন তোলে, উন্নত রাষ্ট্রগুলিতে ব্যালটে ভোট হয়,তাহলে ভারতে ব্যালটে ভোটগ্রহণে আপত্তি কোথায়? এরপরই জোরালো হতে থাকে ব্যালট ফেরানোর দাবি। কংগ্রেসের তরফে বলা হয়, ‘ক্রমাগত ইভিএম ঘোটালার অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। ভোট প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার দায় কমিশনেরই।’ এরপরও অবশ্য ইভিএমের পরিবর্তে ব্যালটে ভোট করার পথে হাঁটছে না নির্বাচন কমিশন। তবে, ভোটপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ২০১৯ লোকসভা ভোটে ১০০ শতাংশ আসনে ভিভিপ্যাট মেশিন ব্যবহার করার কথা ঘোষণা করা হয় কমিশনের তরফে। সেই লক্ষ্যে ১৬ লক্ষ ১৫ হাজার ভিভিপ্যাট তৈরি করতে বরাত দিল কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ১০০ শতাংশ ভোটকেন্দ্রেই ভিভিপ্যাট ব্যবহার করা সম্ভব।
[পোস্টার ছেড়ে আলিঙ্গন এবার বাস্তবে, অভিনব প্রচারে শামিল কংগ্রেস কর্মীরা]
ভোট দেওয়ার সময় ইভিএমে বোতাম টিপলেই রশিদ বেরোবে ভিভিপ্যাট থেকে। সেই রশিদ গণনা করে মেলানো হবে ইভিএমের ফলাফলের সঙ্গে। কমিশনের দাবি, এই পদ্ধতি অনেকটা ব্যালটে ভোট দেওয়ার মতোই। এতে ইভিএমে কারচুপির অভিযোগ এড়ানো যাবে হলেই মত কমিশনের।
The post ইভিএম কারচুপির অভিযোগ এড়াতে উদ্যোগ, ১৬ লক্ষ ভিভিপ্যাট কিনছে কমিশন appeared first on Sangbad Pratidin.