সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসমে সরকারি মাদ্রাসা (Madrasa) বন্ধ করার নির্দেশ জারি হওয়ার পর এবার কি মধ্যপ্রদেশেও (Madhya Pradesh) তেমন পদক্ষেপের চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে? জল্পনা উসকে দিচ্ছে রাজ্যের মন্ত্রী ঊষা ঠাকুরের এক মন্তব্য। তাঁর বিতর্কিত দাবি, সমস্ত জঙ্গি মাদ্রাসায় তৈরি হয়। তাই সমস্ত মাদ্রাসায় সরকারি সহায়তা বন্ধ হওয়া উচিত। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিন তিনি বলেন, ‘‘সমস্ত জঙ্গি (Terrorist) মাদ্রাসায় তৈরি হয়। তারা জম্মু ও কাশ্মীরকে আতঙ্কবাদীদের ফ্যাক্টরি বানিয়ে রেখেছে। মাদ্রাসা জাতীয়তাবাদ মেনে চলতে পারে না, তাই সমাজের সম্পূর্ণ অগ্রগতি নিশ্চিত করতে তাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া উচিত।’’
ইন্দোরে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ওই মন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘আপনারা যদি এই দেশের নাগরিক হন, তাহলে দেখতে পাবেন সমস্ত মৌলবাদী ও সন্ত্রাসবাদী মাদ্রাসাতেই পড়াশোনা করেছে।’’ এরপরই তিনি জানান, এই মাদ্রাসাগুলি যদি শিশুদের মধ্যে জাতীয়তাবাদের উন্মেষ ঘটাতে ব্যর্থ হয় তাহলে তাদের মূলধারার শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া উচিত।
[আরও পড়ুন: জাতির উদ্দেশে ভাষণে এই ৬টি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু এড়িয়ে গেলেন মোদি, তোপ কংগ্রেস নেতার]
তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কি চাইছেন সমস্ত মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়া হোক নাকি সরকার মাদ্রাসাগুলিকে সাহায্য করা বন্ধ করুক? উত্তরে বিজেপি বিধায়ক বলেন, তিনি দ্বিতীয়টির কথা বলতে চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত শনিবার অসমের মন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়ে দেন অসমের সমস্ত সরকার পরিচালিত মাদ্রাসাকে সাধারণ স্কুলে রূপান্তরিত করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা মাদ্রাসা বোর্ড ভেঙে দেব। সাধারণ স্কুল ও মাদ্রাসার মধ্যে অনুদানের সমতা রাখার বিজ্ঞপ্তি তুলে নেওয়া হবে। এবং আমরা সমস্ত সরকারি মাদ্রাসাকে সাধারণ স্কুলে রূপান্তরিত করব।’’ সেই সঙ্গে সরকার পরিচালিত সংস্কৃত টোলগুলিও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, ‘‘বেসরকারি মাদ্রাসা বন্ধ করে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই। আমরা তাতে নিয়ন্ত্রণ আনব।’’