সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লিভ ইন সম্পর্কগুলিকে একহাত নিলেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) বিচারপতি সিদ্ধার্থ। একটি মামলার রায় দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিয়ের প্রতিষ্ঠানটিকে একেবারে ধ্বংস করতেই তৈরি হয়েছে লিভ ইন সম্পর্ক। প্রত্যেক মরশুমে নতুন নতুন সঙ্গী বদল করলে কখনই সুস্থ ও স্থিতিশীল সমাজ গড়ে উঠবে না। কিন্তু এই বিষয়টি না বুঝেই লিভ ইন সম্পর্কের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে যুবসমাজের। কিন্তু বিয়ের মাধ্যমে যে নিরাপত্তা ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা মেলে সেটা লিভ ইন সম্পর্কে কোনওদিনই পাওয়া যাবে না।
একটি ধর্ষণের মামলার রায় দিতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন এলাহাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি। আদনান নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁর লিভ ইন সঙ্গী। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ১৯ বছর বয়সি ওই তরুণীর সঙ্গে এক বছর ধরে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন আদনান। এই সময়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন ওই তরুণী। তখন বিয়ে করতে চাইলে বেঁকে বসেন আদনান। তারপরেই বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ এনে আদনানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী।
[আরও পড়ুন: ৮৫ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণ, ব্লেড দিয়ে চিরে দেওয়া হল ঠোঁট! গ্রেপ্তার ২৮ বছরের যুবক]
মামলার শুনানি চলাকালীনই বিচারপতি বলেন, “প্রত্যেক মরশুমে সঙ্গী বদলের মতো পাশবিক মানসিকতা থাকলে একটা সমাজ কখনই সুস্থ ও স্থিতিশীলভাবে এগোতে পারে না। বিয়ের প্রতিষ্ঠানে যে সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা, নিরাপত্তা রয়েছে সেটা লিভ ইন সম্পর্কের মধ্যে কোনওদিন পাওয়া যাবে না। তথাকথিত উন্নত দেশগুলিতে বিয়ের বন্ধন একেবারেই লুপ্ত হতে বসেছে। এদেশেও যদি তেমন পরিস্থিতি তৈরি হয় শুধুমাত্র তখনই লিভ ইন সম্পর্ক নিয়ে ভেবে দেখা যেতে পারে।”
বিচারপতি আরও বলেন, “লিভ ইন সম্পর্ককে প্রগতিশীল সমাজের নিদর্শন হিসাবে তুলে ধরা হয়। সেই জন্যই যুবসম্প্রদায়ের কাছে এমন সম্পর্ক খুবই আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। কিন্তু পরবর্তীকালে এমন সম্পর্ক যে কতখানি নেতিবাচক হয়ে পড়বে, সেটা নিয়ে তারা ভাবে না।” তবে এলাহাবাদ হাই কোর্টের এই পর্যবেক্ষণের পরে অভিযুক্ত আদনানকে জামিন দেওয়া হয়।