নন্দন দত্ত, বীরভূম: উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনে পড়ুয়াদের উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ। বিশ্বভারতীর অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে শোকজ করল কর্তৃপক্ষ। তিনদিনের মধ্যে জবাব তলব করা হয়েছে।
পড়ুয়াদের আন্দোলনে গত সপ্তাহে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati University)। অভিযোগ করে, গত পাঁচ বছর ধরে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন উপাচার্য। যাকে খুশি তাকে সাসপেন্ড করা, শোকজ করা, বদলি করা, কোনও কর্মীর বেতন বন্ধ করে দেওয়া যেন রোজনামচায় পরিণত করেছেন। বাদ যাননি পড়ুয়ারাও। উপাচার্যের রোষের শিকার হয়েছেন তাঁরাও। কাউকে হস্টেল থেক বহিষ্কার, তো কাউকে সাসপেন্ড করে শিক্ষাঙ্গন থেকে বাইরে রাখা হয়েছে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তাঁর অফিসের সামনে যান পড়ুয়ারা। উপাচার্যের নির্দেশে নিরাপত্তারক্ষীরা পড়ুয়াদের দিকে কার্যত ধেয়ে আসেন। পড়ুয়ারাও তাঁদের দাবি জানাতে নাছোড়বান্দা। উপাচার্য নিরাপত্তারক্ষীদের পড়ুয়াদের উপর ‘গুলি চালানো’রও নিদান দেন বলেই অভিযোগ। পড়ুয়া ও নিরাপত্তারক্ষীদের মধ্যে ধস্তাধস্তিও হয়।
[আরও পড়ুন: এবার আন্তর্জাতিক প্রশংসা পেল দুয়ারে সরকার! রাজ্যের পরিষেবায় মুগ্ধ ইউনিসেফের প্রতিনিধি]
সেই দিনের অশান্তির পরিপ্রেক্ষিতে ইকনমিক্সের অধ্যাপক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে শোকজ করল বিশ্বভারতী। নোটিসে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ২৩ নভেম্বরের অশান্তি অর্থাৎ উপাচার্যের ঘরে উত্তেজনা, ভাঙচুর সবটাই সুদীপ্তবাবুর উস্কানিতে হয়েছে। সুদীপ্তবাবু জানিয়েছেন শোকজ নোটিস পাওয়ার বিষয়টি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জবাব দেবেন বলেই জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর অশান্তিতে বারবার নাম জড়িয়েছে সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের। এর আগে কমপক্ষে ৭০ বার তাঁকে শোকজ করা হয়েছে বলেই খবর।