সৌরভ মাজি, বর্ধমান: করোনা (CoronaVirus) রুখতে একাধিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য। তার মধ্যেই রয়েছে মদের দোকানও। এতে বেজায় সমস্যায় সুরাপ্রেমীরা। মুশকিল আসান করতে হোম ডেলিভারি শুরু করেছিল বর্ধমানের একটি চক্র। জানাজানি হতেই চক্রের ৪ জনকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
দেশের করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ। রাজ্যের সংক্রমিতের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। সেই কারণে একাধিক ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুরোপুরি বন্ধ করা হয়েছে গণপরিবহণ। বেঁধে দেওয়া হয়েছে বাজারের সময়সীমা। বন্ধ মদের দোকানও। এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে বন্ধ হোটেল ও বাড়িতে রমরমিয়ে চলছিল মদের বেআইনি কারবার। একটি ফোন করে অর্ডার দিলেই ক্রেতার বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছিল মদ। দাম নেওয়া হচ্ছিল কয়েকগুণ বেশি। বৃহস্পতিবার এরকমই এক বেআইনি মদের হোম ডেলিভারি চক্রের হদিশ পেল মেমারি থানার পুলিশ। অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মদও উদ্ধার করেছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীনই চোর সন্দেহে ধৃত যুবকের মৃত্যু! স্থানীয়দের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র পোলবা]
এদিন মেমারিতে ২টি বন্ধ হোটেল ও ১টি বাড়িতে হানা দেয় মেমারি থানার পুলিশ। সেখান থেকে ৪৭৭ বোতল নামী কোম্পানির মদ উদ্ধার করা হয়। জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে সন্তোষ দত্ত ও অভিজিৎ দে মেমারির বাসিন্দা, জামালপুরের আঝাপুরের স্নেহাদ্রী বাঙাল এবং হুগলির চন্দননগরের বিমল মণ্ডল। বর্ধমান সদর দক্ষিণের এসডিপিও আমিনুল ইসলাম খান বলেন, “প্রায় লক্ষাধিক টাকার মদ উদ্ধার করা হয়েছে। হোম ডেলিভারির মাধ্যমে প্রায় তিনগুণ দামে বিক্রি করা হচ্ছিল। এই বেআইনি কারবারে জড়িত চারজনকে ধরা হয়েছে।”