সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনী জনসভায় প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য বিশ্বজুড়ে। তদন্তে নেমেছে এফবিআই। বিবৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছে, হামলাকারীর নাম টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস। বয়স ২০। সে পেনসিলভ্যানিয়ার বেথেল পার্কের বাসিন্দা ছিল। এই পরিস্থিতিতে এক রিপাবলিকান নেতা চাঞ্চল্যকর দাবি, ট্রাম্পের উপর হামলার ঘটনায় যুক্ত রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন!
পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলারে নির্বাচনী জনসভা করছিলেন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ট্রাম্প। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় টমাস ম্যাথিউ ক্রুকস নামে ওই আততায়ী। মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসের স্নাইপারের গুলিতে খতম হয়েছে সে। ট্রাম্পের উপর হামলার ঘটনার নিন্দা করেন বাইডেনও। কিন্তু এই ঘটনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও ডেমোক্র্যাটদের দিকেই আঙুল তুলছেন রিপবালিকান নেতা জেডি ভান্স। ক্ষোভ প্রকাশ করে এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, 'এই ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বাইডেন শিবির প্রচার করছে যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প একজন কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিবাদী। তাঁকে কোনও মূল্যে থামাতে হবে। এই ধরণের বক্তৃতাগুলোই ট্রাম্পকে হত্যা করার প্ররোচনা দিয়েছে।' শুধু জেডি ভান্সই নন। অন্যান্য রিপাবলিকান নেতারাও এই ঘটনায় সরাসরি কাঠগড়ায় তুলছেন বাইডেনকেই।
[আরও পড়ুন: বন্দুক হাতে ঘুরছিল আততায়ী, তবুও ‘দর্শক’ পুলিশ! ট্রাম্পের উপরে হামলায় বিস্ফোরক প্রত্যক্ষদর্শী]
বলে রাখা ভালো, যদি নির্বাচনে ট্রাম্প জিতে যান তাহলে তাঁর ডেপুটি হবেন জেডি ভান্স। অর্থাৎ মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দেখা যেতে পারে তাঁকে। এদিকে, নির্বাচনী জনসভায় কী করে বন্দুকবাজ ঢুকে পড়ল এই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক দাবি করেছেন এক প্রত্যক্ষদর্শী। বিবিসিকে তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্প মঞ্চে থাকা অবস্থায় শুটারকে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু খবর পেয়েও তখনই কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ! ওই প্রত্যক্ষদর্শীকে বলতে শোনা গিয়েছে, ”আমরা দেখতে পাচ্ছিলাম লোকটাকে ঘুরে বেড়াতে। আমাদের পাশের বিল্ডিংটার ছাদে। মাত্র ৫০ ফুট দূরে। আমি বুঝতে পারছিলাম না কী হচ্ছে। কেন এখনও ট্রাম্প মঞ্চে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন। কেন ওঁকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে না। আমি দাঁড়িয়ে দেখছিলাম ওকে (হামলাকারী)। দু-তিন মিনিট। সিক্রেট সার্ভিসের লোকেরাও আমাদের দেখছিলেন। আমি ছাদের দিকে ইশারা করে যাচ্ছিলাম। তার পর কী হল সেটা তো সকলেই জানেন।"
ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে হামলার রুদ্ধশ্বাস ভিডিও। যা দেখে চমকে উঠছে গোটা বিশ্ব। ভিডিওটিতে দেখা যায়, বক্তৃতা চলাকালীন হঠাৎই ট্রাম্প কানে হাত দিচ্ছেন। তার পরই বিপদ বুঝে তিনি নিচু হয়ে যান। শোনা যায় গুলির শব্দ। দেখা যায় ট্রাম্পের কান দিয়ে রক্ত ঝরছে। সভাস্থলে ছড়িয়ে যায় আতঙ্ক। দ্রুত প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। পরে তাঁকে ছেড়েও দেওয়া হয়। জানা যায় বিপন্মুক্ত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।