চঞ্চল প্রধান, নন্দীগ্রাম: ফের আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। ঘটনাস্থল সেই নন্দীগ্রাম। শাসকদলের কর্মীকে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির দিকে। আহত ওই কর্মীকে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত কর্মীর নাম গোপাল জানা। তিনি নন্দীগ্রামের গোকুলনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বৃন্দাবনচকের বাসিন্দা। পরিবারের অভিযোগ, নন্দীগ্রামের তেখালি বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী ওই তৃণমূল কর্মীর পথ আটকায়। তা নিয়ে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। তার পর তাঁকে বেধড়ক মারধর করে রাস্তার ফেলে দেওয়া হয়। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন পরিবারের লোকজন। খবর যায় নন্দীগ্রাম থানায়। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
[আরও পড়ুন: কাঠ কুড়োতে গিয়ে গণধর্ষণ-খুনের শিকার বধূ! বিষ্ণুপুরের জঙ্গল উদ্ধার অর্ধনগ্ন দেহ]
স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, লোকসভা ভোটের আগে গোপালকে মারধর করে বিজেপির কর্মীরা। সেই অভিযোগ তুলে থানায় এফআইআর দায়ের করেন তিনি। সেই ঘটনায় গোপালকে অভিযোগ তোলার জন্য বিজেপির কর্মীরা চাপ দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। তা মেনে না নেওয়ায় এই হামলা বলে অভিযোগ।
নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ বলেন, "গোপাল জানার ওপর হামলা চালিয়েছে বিজেপি। বার বার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা বলা হলেও তিনি দল ছেড়ে যাননি। এর আগেও তাঁকে ঘরছাড়া করা হয়েছে। এদিন তাঁকে বাটাম, রড দিয়ে মারা হয়েছে। তৃণমূল করার অপরাধে তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি।"
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্যজুড়ে যে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে তার মোড় ঘোরানোর জন্য এই রকম অভিযোগ তোলা হচ্ছে। বিজেপি তমলুক জেলা কমিটিক সদস্য সুদীপ দাস বলেন, "এটা সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ঘটনা। যিনি মারধরের অভিযোগ তুলেছেন, তিনি ওই এলাকা ও আশেপাশের এলাকায় চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছেন। সেই টাকা ফেরৎ দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বচসা হয়। এর সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগ নেই।"
কিছু দিন আগে এক তৃণমূল নেতার স্ত্রী ও তাঁর নাবালক সন্তানদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আক্রান্ত তৃণমূল কর্মী। যা নিয়ে তীব্র আতঙ্ক তৃণমূল কর্মীদের মধ্য়ে।