সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক বছর আগে দেওরের চাকরির দাবিতে ধর্নায় বসেছিলেন। বছর ফিরতে না ফিরতেই প্রতারণার শিকার পুলওয়ামা হামলায় শহিদ রোহিতাশ লাম্বার স্ত্রী মঞ্জু লাম্বা। শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে প্রতারণা ও হয়রানির অভিযোগে মামলা দায়ের করলেন তিনি। অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এই অভিযোগে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন পুলওয়ামা শহিদের স্ত্রী।
সংবাদ সংস্থার খবর, মঞ্জু বলেছেন যে পুলওয়ামা হামলার পর তাঁর দুমাস বয়সি ছেলের সঙ্গে একাই ছিলেন। সেই সময়ে তিনি সিআরপিএফ, কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন ট্রাস্ট ও ফাউন্ডেশন থেকে ৫ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা পেয়েছিলেন। পাঁচ বছর আগে পুলওয়ামা কাণ্ডে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর তাঁদের দুমাসের ছেলেকে লালন-পালন করতে নিজেদের কাছেই রাখতে চান শ্বশুর-শাশুড়ি।
তিনি অভিযোগ করেন, শাশুড়ি ঘিসি দেবী, শ্বশুর বাবুলাল এবং দেওর জিতেন্দ্র কারসাজি করে ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তাঁকে ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিল। ফাঁকা চেকে স্বাক্ষর করিয়ে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নেয় বলে অভিযোগ। তাঁর কথায়, "আমার সম্মতি ছাড়াই অ্যাকাউন্টের মোবাইল নম্বর বদলে দেওয়া হয়। তাই কোনও নোটিফিকেশন আসেনি। নিজের নম্বর যোগ করেছেন জিতেন্দ্র।" হারমারা থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
তবে পালটা জিতেন্দ্র লাম্বা জানান, মঞ্জু তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে আলাদা বসবাস করছিলেন। এবং পরিবারের সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া করতেন। মঞ্জুর আসল উদ্দেশ্য ছিল পুনরায় বিয়ে করে বিদেশে যাওয়া। তাঁর আচরণের কারণে নিরাপত্তার জন্য বাড়িতে ক্যামেরাও বসানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, মঞ্জু এর আগে ২০২৩ সালের মার্চ মাসে কংগ্রেস নেতা শচীন পাইলটের বাসভবনের বাইরে অন্যান্য শহিদের স্ত্রীর সঙ্গে দেওরের চাকরির দাবিতে ধর্নায় বসেছিলেন।