ধীমান রায়, কাটোয়া: সরকারি সহায়ক মূল্যে ধান কেনা নিয়ে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ। পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) ৬ টি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চলেছে প্রশাসন। এর মধ্যে কাটোয়া মহকুমা এলাকায় রয়েছে ৪ টি এবং কালনা মহকুমা এলাকায় রয়েছে দুটি সমবায় সমিতি।
অভিযোগ, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান না কিনে চালকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আঁতাত করে ধান কেনার ভুয়ো হিসাব দেখিয়েছে ওই ৬ সমবায় সমিতি। সমবায় দপ্তরের পূর্ব বর্ধমান রেঞ্জ ২ এর সহ-নিয়ামক বিমলকৃষ্ণ মজুমদার বলেন, “ওই ৬ সমবায় সমিতি কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান না কিনে চালকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাগজপত্র আদানপ্রদান করে ভুয়ো হিসাব দেখিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে তা প্রমানিত হওয়ার পর ওই সমবায় সমিতিদের শোকজ করা হয়েছে। এবার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পেলেই তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘মনোরঞ্জন ব্যাপারীর মতো বহু বিধায়কই বাংলায় কাজ করার সুযোগ পান না’, বিস্ফোরক লকেট]
কৃষকদের সুবিধার্থে সরকারি সহায়কমূল্যে ধানকেনার ব্যবস্থা করেছে সরকার। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে সমবায় সমিতি, খাদ্যদপ্তর এবং চালকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে ধানকেনার পদ্ধতি নির্ধারণ হয়। এর মধ্যে থাকে বিভিন্ন এজেন্সি। নিয়ম অনুযায়ী সমবায় সমিতিতে কৃষকরা সরাসরি ধান দেবেন। সংশ্লিষ্ট সমবায় সমিতিগুলি থেকে কৃষকরা চাষের জন্য ঋণ নিয়ে থাকেন। সমবায় সমিতি ধানের দাম মেটানোর সময় কৃষকদের থেকে ঋণের টাকাও কেটে নেওয়ার সুযোগ পায়।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান ২ রেঞ্জে কাটোয়া ও কালনা মহকুমা মিলে মোট ৭২ টি সমবায় সমিতির মাধ্যমে সহায়কমূল্যে ধান কেনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেগুলির অধিকাংশই সরকারি নিয়ম মেনে কৃষকদের থেকে ধান কিনলেও কাটোয়া ও কালনা এলাকার ৬ টি সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এই ছয় সমবায় সমিতির মধ্যে রয়েছে কাটোয়ার সুদপুর সমবায় সমিতি, শ্রীখন্ড সমবায় সমিতি এবং ন’নগর সমবায় সমিতি। কালনা মহকুমার দুটি সমবায় সমিতি। এছাড়া কেতুগ্রামের ঝামাটপুর সমবায় সমিতি। অভিযোগ কাগজপত্রে হিসাব দেখালেও তারা আদপেই কৃষকদের থেকে সরাসরি ধান কেনেইনি। অবিলম্বে এই সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে চলেছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।