সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: সপ্তম দফার ভোট শেষ হতেই রাতে নদিয়ার দেবগ্রামে বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ভোট পরবর্তী হিংসার জেরেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম হাফিজুল শেখ। তিনি চাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা। এলাকায় তিনি বিজেপি (BJP) কর্মী বলেই পরিচিত। শনিবার রাতে কালীগঞ্জের চাঁদপুর জামতলা বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন যুবক। অভিযোগ, সেই সময়ই কয়েকজন দুষ্কৃতী মোটরবাইকে এসে হাফিজুলকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। গুলি চালানোর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে তাঁকে কোপানো হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করেছে তদন্তকারীরা।
[আরও পড়ুন: রামকৃষ্ণ মিশনে হামলায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত, গা ঢাকা দিয়েও হল না শেষরক্ষা]
বিজেপির অভিযোগ, কয়েকদিন আগে এলাকার বেশ কিছু সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ তাদের দলে যোগ দেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এই খুন বলে দাবি তাঁদের। পাশাপাশি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে তারা। মৃতের দাদা জৈনউদ্দিন মোল্লা বলেন, "আমার ভাই হাফিজুল এখানে ক্যারাম খেলছিল। সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ভাইকে পর পর গুলি করে। তার পর কুপিয়ে মারে। এখানেই থামেনি ওরা। অন্য বিজেপি কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজি করে। আমরা বিজেপি করি বলে আমাদের উপর এই অত্যাচার।" পুলিশের উপর ভরসা নেই জানিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছেন তিনি।
বিজেপির নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে অরাজকতার সৃষ্টি হয়েছে। আইনের শাসন নেই। যুবক খুন হয়ে গেলেন। পুলিশ কিছু করতে পারল না। রক্ষকই, ভক্ষক ভূমিকায় রয়েছে। আজ বিজেপির করার অপরাধে হাফিজুলকে মারা হল। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।"