সাবিরুজ্জামান, লালবাগ: দলীয় পদ দেওয়ার নামে তোলাবাজির অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) বিরুদ্ধে। সেই অভিযোগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভগবানগোলার বিধায়ক ইদ্রিশ আলির বাড়িতে চড়াও হয় দলীয় কর্মীদের একাংশ। চলে ভাঙচুর। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক। তাঁর দাবি, কয়েকজন নেশা করে গুন্ডামি করেছে। তারা তৃণমূলের কেউ নয়।
ভগবানগোলার সুবর্ণমৃগিকা গ্রামের বাসিন্দা ইদ্রিশ আলি। সোমবার সন্ধেয় তাঁর বাড়িতে চড়াও হয় একদল যুবক। এলাকাবাসীর দাবি, তাঁরা সকলেই তৃণমূল (TMC) কর্মী। সোমবার সন্ধেয় বিধায়কের বাড়িতে ভাঙচুর চলে। বাইরে রাখা গাড়িতেও হামলা হয়। সদর দরজা বন্ধ থাকায় ভিতরে ঢুকতে পারেনি কেউ। তবে দরজার গ্রিলে বাঁশ দিয়ে আঘাত করা হয়। ভেঙে ফেলা হয় বাইরে রাখা চেয়ারও। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
[আরও পড়ুন: সুকান্তকে সরিয়ে রাজ্য BJP সভাপতি শুভেন্দু? দলে গুরুত্ব বাড়তে পারে দিলীপ-লকেটের]
তাণ্ডবে মূল অভিযুক্ত মুজতবা শেখের অভিযোগ, গিয়াসউদ্দিন নামের এক তৃণমূল কর্মীকে ব্লক সভাপতি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিধায়ক বারো লক্ষ টাকা নিয়েছেন। আবার বিধায়ক যার দিকে অভিযোগের আঙুল তুলছেন সেই মুজতবাকে অঞ্চল সভাপতি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ। এমনকী, পঞ্চায়েতে টিকিট পাইয়ে দেবেন বলে ইদ্রিশ ৪০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ তৃণমূলকর্মীদের একাংশের। শুধু তাই নয়, আশাকর্মী থেকেও বিধায়ক টাকা তুলেছেন বলে অভিযোগ। নিজের ছেলেকে বিধায়ক কোটার টেন্ডারের কাজ পাইয়ে দেন বলেও দাবি বিক্ষুব্ধদের।
যদিও এইসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। তাঁর কথায়, “মূল অভিযুক্ত মুজতবা শেখ মাতাল, চরিত্রহীন। তোলা তুলে খায়। ওকে বাদ দিয়ে অঞ্চলের বৈঠক করছিলাম। সেটা মানতে পারেনি। তাই এসব করেছে। যা অভিযোগ করছে সব মিথ্যে। এমন কিছু ঘটেনি।” তাঁর আরও দাবি, পঞ্চায়েত সদস্য শেখ গোলাপকেও খুন করার হুমকি দিয়েছে মুজতবা। তার বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন বিধায়ক।