বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: গো বলয়ের তিন রাজ্যে ভোট বিপর্যয়ের জন্য ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে কংগ্রেসকে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড় করাল শরিকরা। কংগ্রেসের দাদাগিরির জন্যই বিপর্যয় বলে অভিযোগ করেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব। তাঁর বক্তব্যকে আরজেডি ও বামেরা সমর্থন করে।
তিন রাজ্যে কংগ্রেসের অনমনীয় মনোভাবই বিপর্যয়ের কারণ বলে জানান বৈঠকে হাজির শরিক নেতৃত্ব। তাই রাজ্যস্তরে আসন সমঝোতার সময় বিষয়টি মাথায় রেখেই শরিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার পরামর্শ দেন তাঁরা। সেই সঙ্গে কংগ্রেস যেভাবে নরম হিন্দুত্বের পথে হাঁটছে, তাতে সমূহ বিপদ হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে বামেরা।
[আরও পড়ুন: মোদি-মমতার বৈঠকের দিন বিধায়কদের নিয়ে শুভেন্দুর কর্মসূচিতে ‘নারাজ’ সুকান্ত! প্রকাশ্যে অন্তর্কলহ]
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের কাছে সমাজবাদী পার্টি ও বামেরা কয়েকটি আসন দাবি করে। বৈঠকে বসার আহ্বান জানান অখিলেশ। কিন্তু জোট শরিকদের দাবিকে ফুৎকারে উড়িয়ে দেয় কংগ্রেস (Congress)। হাত শিবির অনমনীয় থাকায় তিন রাজ্যে একশোর বেশি আসনে প্রার্থী দেয় সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টি ও বামেরা। ভোট ভাগাভাগির পুরো ফসল ঘরে তোলে গেরুয়া শিবির। তিন রাজ্যেই ক্ষমতা দখল করে বিজেপি। ভোটের ফল বেরতেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন অখিলেশ। তাই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আসনরফার প্রসঙ্গ উঠলেই অবধারিতভাবে অখিলেশ খড়হস্ত হবেন বলে জল্পনা ছিলই। ঘটলও তাই। প্রসঙ্গ উঠতেই তিন রাজ্যের ভোটে আসনরফা নিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো।
সূত্রের খবর, তিনি জানান, আসনরফা নিয়ে আলোচনার সময় শরিকদের সঙ্গে নমনীয় মনোভাব নিয়ে আলোচনা করলে জোটের লাভ হবে। এই বিপর্যয় সেই ইঙ্গিত দিয়েছে। এর থেকেই সকলকে শিক্ষা নিতে হবে। অখিলেশ বক্তব্য শেষ করতেই তাঁর পাশে দাঁড়ায় আরজেডি ও বামেরা। সূত্রের খবর এমনই। তিন রাজ্যের ভোটে কংগ্রেসের রণকৌশল সঠিক ছিল না। বিশেষ করে শতাব্দী প্রাচীন দলটি যেভাবে নরম হিন্দুত্বের লাইন নিয়েছিল তাতে সংখ্যালঘুরা আঘাত পেয়েছিল বলে বৈঠকে জানায় সিপিএম ও আরএসপি।
[আরও পড়ুন: ‘স্বামী নির্যাতন করলেও সেটা ধর্ষণ’, পর্যবেক্ষণ গুজরাট হাই কোর্টের]
এক বাম নেতার কথায়, কংগ্রেসকে অসাম্প্রদায়িক দল বলেই জানে দেশবাসী। সেক্ষেত্রে কংগ্রেস কোনও একপক্ষ নিলে বাকি অংশের মানুষ তা মানবে না। হয়েছেও তাই। সংখ্যালঘু মানুষ কংগ্রেসের বিকল্প খুঁজেছে। তাতে লাভবান হয়েছে বিজেপি। আগামিদিনে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে হবে বলে পরামর্শ দেন বাম নেতৃত্ব।