গৌতম ব্রহ্ম: একশো দিনের প্রকল্পে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ তুলেছে রাজ্য সরকার। মন্ত্রিসভার বৈঠকে একশো দিনের কাজে নথিভুক্তদের নিয়ে আলোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার থেকে তাঁদের যেকোনও সরকারি নির্মাণ প্রকল্পে কাজে নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলেই জানান তিনি। মেলা, খেলার খরচে রাশ টেনে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ওই টাকা একশো দিনের প্রকল্পে নথিভুক্তদের দেওয়ার ভাবনাচিন্তাও চলছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কল্পতরু রাজ্য সরকার। ভাতা নিয়েও নানা আলোচনা হয় বুধবারের মন্ত্রিসভার বৈঠকে। যাঁরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র সুবিধা পাচ্ছেন এবার তাঁরাও পেতে পারেন ‘বিধবা ভাতা’। ৬০ বছর বয়সি পর্যন্ত রাজ্যের প্রত্যেক মহিলা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে নভেম্বর বা ডিসেম্বরে অশান্তির আশঙ্কা, মন্ত্রিসভার বৈঠকে সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]
রাজ্য সরকারের নিয়মানুযায়ী, জেনারেল বা সাধারণ মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা এবং তফশিলি জাতি, উপজাতি কিংবা অন্যান্য অনগ্রসর প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পান। সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা পান মহিলারা। যাঁরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র সুবিধা পেতেন তাঁরা ‘বিধবা ভাতা’ পেতেন না। তবে এবার ৬০ বছর পর্যন্ত বয়সিরা ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র পাশাপাশি ‘বিধবা ভাতা’র টাকাও পেতে পারেন।
কৃষকদের নিয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে একপ্রস্থ আলোচনা হয়। যাঁরা চাষের জমির উপর দিয়ে হাইটেনশন তার যায় তাঁদের বাধ্যতামূলকভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। তড়িৎ পরিবাহী খুঁটির জন্য জমির মূল্যের ১৫ শতাংশ এবং ফসলের দাম-সহ জমির মূল্যের ১০ শতাংশ অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে জমি মালিকদের। পাশাপাশি আলুচাষিদের দুরবস্থার কথাও এদিনের বৈঠকে উঠে আসে। বর্তমানে আলুর দাম কমে কেজি প্রতি ২২ টাকা হয়ে গিয়েছে। যাঁরা আলু এতদিন বিক্রি করেননি তাঁরা আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হবে। তাঁদের জন্য কিছু ব্যবস্থাপনা করা যায় কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া বিভিন্ন ক্ষেত্রে নতুন ২৬১ জনকে নিয়োগের অনুমতিও দেওয়া হয়।